যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, পথে গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে এ যানজট হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যানজট নিরসনে যমুনা সেতু দিয়ে কয়েক দফায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রেখে উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন গুণের বেশি যানবাহন ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে চলাচল করছে। এ ছাড়া যমুনা সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০টি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এ জন্য দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সেতু এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট হারুন অর রশীদ জানান, ভোরে সিরাজগঞ্জের দিকে যানবাহন টানতে পারছিল না। এতে যানজট সেতুর ওপর হয়ে পূর্ব প্রান্তের (টাঙ্গাইলের দিকে) টোল প্লাজা পর্যন্ত চলে আসে। তখন ৪০ মিনিট টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এ সময় যানজট তীব্র হয়। যানজট কমাতে দিবাগত রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা এবং সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আবার সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যানবাহন পার করা হয়।

সকাল নয়টায় মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত গিয়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। বগুড়াগামী ট্রাকের আরোহী লতিফুর রহমান জানান, ভোর চারটায় গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে রওনা হয়েছেন। পথে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এলাকা, পাকুল্যাসহ কয়েক স্থানে যানজটে পড়তে হয়। টাঙ্গাইল শহর বাইপাসে আসার পর দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হয়। এলেঙ্গা পর্যন্ত এক ঘণ্টার পথ পার হতে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

যমুনা সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, গত বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এ সময় ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা।

গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ