ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক: ২৫ কিলোমিটার যানজট, যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ হাজার যানবাহন পারাপার
Published: 6th, June 2025 GMT
যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, পথে গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে এ যানজট হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যানজট নিরসনে যমুনা সেতু দিয়ে কয়েক দফায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রেখে উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন গুণের বেশি যানবাহন ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে চলাচল করছে। এ ছাড়া যমুনা সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০টি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এ জন্য দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সেতু এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট হারুন অর রশীদ জানান, ভোরে সিরাজগঞ্জের দিকে যানবাহন টানতে পারছিল না। এতে যানজট সেতুর ওপর হয়ে পূর্ব প্রান্তের (টাঙ্গাইলের দিকে) টোল প্লাজা পর্যন্ত চলে আসে। তখন ৪০ মিনিট টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এ সময় যানজট তীব্র হয়। যানজট কমাতে দিবাগত রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা এবং সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আবার সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে উভয় লেন দিয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যানবাহন পার করা হয়।
সকাল নয়টায় মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহর বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত গিয়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। বগুড়াগামী ট্রাকের আরোহী লতিফুর রহমান জানান, ভোর চারটায় গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে রওনা হয়েছেন। পথে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এলাকা, পাকুল্যাসহ কয়েক স্থানে যানজটে পড়তে হয়। টাঙ্গাইল শহর বাইপাসে আসার পর দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হয়। এলেঙ্গা পর্যন্ত এক ঘণ্টার পথ পার হতে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
যমুনা সেতুর টোল প্লাজা সূত্র জানায়, গত বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এ সময় ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জিডি
ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গামান্দিরের কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
গত বুধবার বিকেলের মধ্যেই প্রতিমার ভেঙে ফেলা অংশগুলো মেরামত করা হয়। ওই প্রতিমা নির্মাণশিল্পী কানাইপুরের বিজন পাল প্রতিমাটি মেরামত করেন। এ জন্য আনুষঙ্গিক ব্যয় হয়েছে আড়াই হাজার টাকা।
মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাসুদেব বিশ্বাস বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম আমাদের জানা নেই। এ জন্য মামলা হয়নি।’
বাসুদেব বিশ্বাস আরও বলেন, প্রতিমা মেরামতের টাকা জেলা পুলিশ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ না করে নিজেরাই এর ব্যয়ভার বহন করেন।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন বলেন, আগামী রোববার (৩ আগস্ট) এলাকাবাসীকে নিয়ে ওই মন্দির প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এলাকায় গোয়েন্দা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গামন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।