‘আমি আর রাশমিকা ময়লার ভাগাড়ে ৬-৭ ঘণ্টা শুটিং করেছি’
Published: 14th, June 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা অভিনয়শিল্পী ধানুশ ও রাশমিকা মান্দানা। ‘কুবেরা’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন তারা। অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন শেখর কামুলা। কয়েক দিন পরই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ‘কুবেরা’ সিনেমার একটি গান মুক্তি দিয়েছেন নির্মাতারা। এ উপলক্ষে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেন ধানুশ। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সিনেমাটির শুটিং সেটে রাশমিকার সঙ্গে বিশেষ কোনো স্মৃতি রয়েছে কি না?
এ প্রশ্নের জবাবে ধানুশ বলেন, “আমি আর রাশমিকা ময়লার ভাগাড়ে ৬-৭ ঘণ্টা শুটিং করেছি। পুরো সময়ে রাশমিকা ঠিকঠাক ছিল। তার ভাবটা এমন ছিল যে, ‘আমি কোনো দুর্গন্ধই পাচ্ছি না।”
এরপর গম্ভীর কণ্ঠে ধানুশ বলেন, “আমি অনেক খবর পড়েছি। যেখানে বলা হয়েছে, ‘মাস্ক পরে আমরা শুটিং করেছি। এটা তেমন কোনো বড় ব্যাপার ছিল না।’ কিন্তু পৃথিবীর অন্য পাশটিও দেখুন; যা আপনি আবিষ্কার করতে পারেননি। আপনি সবসময়ই আপনার আরামদায়ক জায়গায় থাকেন, যেখানে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন; যা সুবিধাজনক তাই করেন। আপনি নিরাপদে থাকার জন্য এটা করে থাকেন। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ খুবই নিরাপদে আছেন।”
“আমি সেখান থেকে এসেছি। আমি খুব বিনয়ী, আমি রুট থেকে শুরু করেছি। ঈশ্বরের কৃপায় আমি এখানে এসেছি। আমি তা দেখেছি। সেই পৃথিবী পুনরায় দেখার জন্য সেখানে ফিরে যাওয়া খুবই জ্ঞানগর্ভ এবং স্মৃতিকাতর ব্যাপার। আমাকে আমার শৈশবে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সত্যিই এই সিনেমার প্রতি কৃতজ্ঞ।” বলেন ধানুশ।
টাইপকাস্টিং (একইরকম চরিত্র) থেকে কীভাবে নিজেকে দূরে রেখেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে ধানুশ বলেন, “আমি ঠিক প্রসেসরের মতো। কম্পিউটার। আমি খুব বেশি পরিশ্রম করি না। আপনার ঠিকমতো তথ্য দরকার। আমার পরিচালকরা আমাকে তথ্য দিয়েছেন। তারা যে কাজ করেন তার বেশিরভাগই আমি এটিকে প্রক্রিয়া করি। আমি কেবল একজন প্রসেসর। আমি যে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছি, তার সবই তাদের কৃতিত্ব।”
‘কুবেরা’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন— নাগার্জুনা আক্কিনেনি, ধানুশ, রাশমিকা মান্দানা। সামাজিক গল্পের সিনেমাটি আগামী ২০ জুন বিশ্বব্যাপী মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। সিনেমাটির বাজেট ধরা হয়েছে ৮০-১২০ কোটি রুপি।
তথ্যসূত্র: সিয়াসাত ডটকম
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের ৪টি কাউন্সিল গঠন করা হবে: নোবিপ্রবি উপাচার্য
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন স্তরে মোট চারটি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) এ কাউন্সিল গঠনের বিষয়টি জানিয়েছেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনে এবং সার্বিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নোবিপ্রবি প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সুপারিশক্রমে ৩৩টি বিভাগ, সাতটি অনুষদ ও দুইটি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রসংসদসহ বিভিন্ন স্তরের মোট চারটি কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারে যন্ত্র আছে, সেবা নেই
নোবিপ্রবির রিসার্চ সেলে ৪৩ লাখ টাকা গড়মিল তদন্তে কমিটি
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ও ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বর্ষে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘স্টুডেন্ট কাউন্সিল’, বিভিন্ন বিভাগের ও ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বর্ষের সিআর প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘সিআর কাউন্সিল’, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রে নিবন্ধিত বিভিন্ন ক্লাব ও সোসাইটির প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘ক্লাব কাউন্সিল’ এবং শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ গঠন করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “চারটি কাউন্সিলের মধ্যে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে ২০০৮ সালে ষষ্ঠ রিজেন্ট বোর্ডে নীতিমালা প্রকাশ করে। তাই কিছু সংশোধন করে এটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। বাকি সি আর কাউন্সিল, ক্লাব কাউন্সিল এবং কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের বিষয়ে কোনো নীতিমালা না থাকায় বর্তমান প্রশাসন তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নীতিমালা প্রণয়ন করে বাকি কাউন্সিলগুলোও গঠন করা হবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী