গত ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বুধবার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল আংশিকভাবে অবরোধ তুলে নেওয়ার পর থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ত্রাণ সংগ্রহকারী ফিলিস্তিনিদের প্রায় প্রতিদিন হত্যা করছে। বুধবার নিহতদের মধ্যে ত্রাণ সংগ্রহকারীরাও রয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাগাজি শরণার্থী শিবির, জেইতুন পাড়া এবং গাজা সিটির মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে পৃথক বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি শিবিরে বিমান হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মধ্য গাজার সালাহউদ্দিন সড়কে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ভিড়ের উপর ইসরায়েলি গুলিবর্ষণে আরো ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে সাহায্য বিতরণ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে খাদ্য সহায়তা পেতে চেষ্টা করা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩৯৭ জন নিহত এবং তিন হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

জা শহরের বাসিন্দা আদেল বলেছেন, “গাজায় দিনরাত মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু মনোযোগ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের দিকে সরে গেছে। আজকাল গাজা সম্পর্কে খুব কম খবরই পাওয়া যায়। যে ইসরায়েলি বোমায় মারা যায় না, সে ক্ষুধায় মারা যায়। মানুষ প্রতিদিন খাবারের জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নেয়, তারা মারাও যায় এবং তাদের রক্তে আটার বস্তা ভেসে যায়।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ন হত ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়

বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা

শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।

কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।

রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।

চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০