ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আইয়ুব আলী (২) নামে এক শিশুকে হত্যার পর মরদেহ ঘরেই পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের পশ্চিম ধুরাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

অভিযুক্ত বাবার নাম নুরুল আমিন (৩০)। তিনি একই গ্রামের ফজুল মিয়ার ছেলে। তবে পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী। 

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন নুরুল আমিন। বুধবার দুপুরে ছেলে আইয়ুবকে নিজের কাছে নেন তিনি। পরে ধারালো দা দেখিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের ভয় দেখিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন নুরুল আমিন। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যরা ফেরেন। এ সময় কৌশলে ঘরে ঢুকে ছেলে কোথায় তা জানতে চান স্বজনরা, কিন্তু নুরুল আমিন জানেন না বলে জানান। পরে ঘরের পাশে মাটির স্তূপ দেখে সন্দেহ হলে তাকে আটকে রাখা হয়। তখন তিনি স্বীকার করেন, মাথায় আঘাত করায় ছেলে আইয়ুবের মৃত্যু হয়েছে। পরে নিজ ঘরে মাটি খুঁড়ে পুতে রাখেন ছেলের মরদেহ। এমনকি এসময় দুটি ছাগলও হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখেন নুরুল আমিন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত শাবল ও কোদাল উদ্ধার ও অভিযুক্ত বাবা নুরুল আমিনকে আটক করে। একই সঙ্গে মরদেহ উদ্ধার থানায় নিয়ে আনা হয়।

জানতে চাইলে নিহত শিশুর দাদা ফজুল মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে পাগল। আমরা বাড়িতে ছিলাম না। বিকেলে এসে শুনি, ছেলে তার বউকে মারধর করে নাতিকে নিজের কাছে নিয়ে রেখে দেয়। সন্ধ্যায় ঘরে গিয়ে দেখি, হত্যা করে গর্তের ভেতরে রেখে দিয়েছে।’

হালুয়াঘাট সার্কেলের এএসপি সাগর সরকার বলেন, খবর পেয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ হত য ন র ল আম ন পর ব র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ