সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। নবগঠিত কমিটিতে আছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির তিন নেতা।

আজ বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন সদ্য অনুমোদিত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও নুরুল হুদা জুনেদ। তাঁরা জানান, পদাধিকারবলে নবগঠিত এ কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো.

রেজা-উন-নবী।

আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে ১১ সদস্যের। এতে পদাধিকারবলে সদস্যসচিব রাখা হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিলেটের উপপরিচালককে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন নয়জন। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সদস্য হিসেবে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল হুদা জুনেদ।

কমিটিতে এনামুল ও শাহজাহান ‘ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ক্রীড়া অনুরাগী ও সংগঠক’ হিসেবে স্থান পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে নুরুল ‘ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক’ হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়র, সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রাহাত শামস, ক্রীড়া অনুরাগী ও সংগঠক মো. মোকাম্মেল হক এবং সাবেক ফুটবলার আবিবুল বারি আয়হান। এ ছাড়া ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নাইম শেহজাদ ও ক্রীড়া সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের অন্তর্ভুক্ত হন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. আমিনুল ইসলামের সই করা অনুমোদনপত্রে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ধারা ২(১৫)-এ উল্লেখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে কমিটি হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ২ (৪) ও ৮-এ বর্ণিত পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক এ কমিটি অনুমোদিত হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ম দ কম ট র এন ম ল ম ল হক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

চুলচেরা বিশ্লেষণ বিপিএলের দল নির্বাচন, ১০ কোটির ব‌্যাংক গ‌্যারান্টির অপেক্ষা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঘণ্টা তাহলে বেজেই গেল। বিপিএলের দল নির্বাচন। সাম্ভাব‌্য শুরু ও শেষের তারিখ। প্লেয়ার্স ড্রাফটের দিনক্ষণ ঠিক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দুয়েক দিনের মধ‌্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
পাঁচ দল নিয়ে হবে বিপিএলের আগামী আসর। গুলশানে নাভানা টাওয়ারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানাও চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন টগি স্পোর্টস রংপুর রাইডার্সের মালিকানা পেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রংপুরকে তারাই প্রতিনিধিত্ব করছে। আগামী পাঁচ বছরও তারা থাকবে।
ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিসকে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ ছাড়া নাবিল গ্রুপ রাজশাহী, ক্রিকেট উইথ সামি সিলেট ও চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস পেয়েছে ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা। প্রত‌্যেককেই ফ্রাঞ্চাইজি দেয়া হয়েছে পাঁচ বছরের জন‌্য।
বিপিএলে ফ্রাঞ্চাইজি নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তিনটি বিষয়ে খেয়াল করেছে,
১) আর্থিক সামর্থ‌্য
২) ম‌্যানেজমেন্ট অ‌্যান্ড মোটিভেশন
৩) অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেটে সংশ্লিষ্টতা
এজন‌্য কাজ করেছে অডিট ফার্ম, ল এন্ড ফোর্সমেন্ট সংস্থা, বিসিবির নিজস্ব সোর্স।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতিখার রহমান মিঠু সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘১১টা টিম ছিল। সেখান থেকে তিনটি দল প্রথম সিলেকশনে বাদ পড়ে। পরে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে, বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সর্বসম্মতিমতে এই পাঁচটি টিম চূড়ান্ত করতে পেরেছি।’’

পাঁচ দল নিয়ে বিপিএল আয়োজনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বাড়বে বলেই আশাবাদ মিঠুর, ‘‘পাঁচ দলে বরং প্রতিযোগিতা বাড়বে। একেক দলে ১১ জন করে প্লেয়ার থাকবে। আমরা চাই দেশের সকলের সুযোগ দেওয়ার। যারা কনট্রাকটিভ হবে, তারা যাতে টাকা সময়মতো পায়। আমাদের বিপিএল যে এতটা তলানীতে চলে গেছে, সেটাই বড় কারণ।’’

দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি। আজ থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি না পেলে ফ্র‌্যাঞ্চাইজি বাদও হতে পারে।

বিপিএলের ১২তম আসর ১৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা বিসিবির। ফাইনাল হতে পারে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি। আগেই নির্ধারণ করা ১৭ নভেম্বর হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট।

রংপুর রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ঢাকা ক‌্যাপিটালস নামে বিপিএল খেলবে। এছাড়া চিটাগং বুলস, রাজশাহী স্টারস ও সিলেট ইউনাইটেড নামে মাঠে নামতে পারে দলগুলো।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ