ধামগড় ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ড কমিটিতে ত্যাগীরা মূল্যায়িত হয়েছে: জাহিদ
Published: 11th, December 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়নের নবগঠিত ৩, ৪, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির চারটি কমিটি বিগত সরকারের দমন পীড়নের সময় রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে।
কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ কমিটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিতর্কিত করার অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার। তিনি এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ধামগড়ের কামতাল এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জাহিদ খন্দকার বলেন, “আগামী এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা এসেছে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় দ্রুতই চারটি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের কাছে জমা দিই।
কিন্তু দুই মাস পার হলেও সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া অনুমোদনের সাইন করানোর অজুহাতে দেরি করেছেন। পরে উপজেলা নেতৃবৃন্দের অনুমতিক্রমে তাদের ও আমার যৌথ সাইনে কমিটি অনুমোদন করা হয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং আমাকেও জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমরা এ ধরনের অপপ্রচার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।”
জাহিদ খন্দকার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আজকে নবগঠিত চারটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকরা সবাই আমার সঙ্গে আছেন। মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন। আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের বিজয় নিশ্চিত করি। ধানের শীষের জয়েই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
নবগঠিত চারটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বলেন, আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেছি। সেই ত্যাগের মূল্যায়ন হিসেবেই কমিটিতে স্থান পেয়েছি। এজন্য উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
তাঁরা অভিযোগ করে আরও বলেন, কমিটির তালিকা জমা দেওয়ার পরও সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়ার কারণে তিন মাস দেরি হয়েছে। তিনি বারবার ‘দিচ্ছি’ বলে সময়ক্ষেপণ করেছেন। শেষ পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ— আমরা কমিটি পেয়েছি। কোনো টাকা-পয়সা নয়, কেবল ত্যাগের মূল্যায়নেই আমরা এই দায়িত্ব পেয়েছি। এখন দলীয় প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত চারটি ওয়ার্ডের মধ্যে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ছানাউল্লাহ মুন্সী, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আক্কাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাইদ, সহ- সভাপতি জাকির প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মাসুম প্রধান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তোবার প্রধান, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী হাসান আলী, সহ- সভাপতি মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ নবগঠ ত গঠন ক উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ: সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ফরিদপুর জেলার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার একদিনের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন এক নেতা। কমিটির ৬ নম্বর সদস্য পদে রাখা রনি মোল্যা ব্যক্তিগত কারণ ও ‘যথার্থ সম্মান’ না পাওয়ার অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) তিনি পদত্যাগের কথা জানান।
পদত্যাগপত্রে রনি মোল্যা উল্লেখ করেছেন, তিনি পূর্বে ফরিদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির যুগ্ম-সদস্য সচিব হিসেবে এবং পরে এনসিপি গঠিত হলে নগরকান্দা উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। সর্বশেষ তিনি ফরিদপুর জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তবে, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে ঘোষিত ফরিদপুর জেলা এনসিপির আহ্বায়ক কমিটিতে তাকে ৬ নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। এই পদে তাকে না জানিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রনি মোল্যা।
এ প্রসঙ্গে রনি মোল্যা বলেন, ‘‘আমাকে অবগত না করেই কমিটিতে ৬ নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। আমি মনে করি আমাকে যথার্থ সম্মান দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি আমার একান্ত কিছু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে চিন্তার কারণে আমি আমার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’’
পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর জেলা এনসিপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির দুই নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহিদ বলেন, ‘‘রাজনীতিতে সকলের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা আনুষ্ঠানিক কোনো পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি, যদিও বিষয়টি শুনেছি। একজন যদি পদে থাকতে না চায়, তবে তাকে জোর করা সম্ভব নয়। এটি তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এতে দল এবং জেলা কমিটির কার্যক্রমের কোনো ক্ষতি হবে না।’’
ঢাকা/তামিম//