ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলা বিপজ্জনক নজির বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের দূত ফু কং। নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাওয়ার আগে ইসরায়েলের যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্র বিরতি ঘোষণা করা উচিত।

ফু কং বলেন, ইসরায়েলের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা একটি ‘বিপজ্জনক নজির’ স্থাপন করেছে, যার ফলাফল বিপর্যয়কর হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক ইস্যুটি অবশ্যই ‘সংলাপ ও আলোচনার পথে ফিরিয়ে আনা’ প্রয়োজন।

এদিকে বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার সমালোচনা করেছে সৌদি আরবও। দেশটির পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইরানের একাধিক পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টর স্থাপনার মূল ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, স্থাপনাটি নির্মাণাধীন হওয়ায় সেখানে কোনও ধরনের পারমাণবিক উপাদান ছিল না। যে কারণে সেখানে বিকিরণের কোনো ঝুঁকি নেই বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সের ব্যাটিং ঝলক আর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়

ডাবলিনের মালাহাইড ভিলেজে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের নায়ক জর্ডান কক্স করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লিয়াম ডসন, জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদের বোলিং জাদুতেই ধরা খেল স্বাগতিকরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। শেষদিকে তার ঝড়ো ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় দল। ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি বিশাল ছক্কা। ওপেনার রস অ্যাডায়ার ২৩ বলে ৩৩ এবং তিন নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন। তবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে দ্রুত ফেরান ডসন। পরে টেক্টরকেও আউট করে ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগার দাঁড় করান তিনি।

আরো পড়ুন:

ভারতকে ১৭২ রানের টার্গেট ছুড়ল পাকিস্তান

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত

জেমি ওভারটন তার চার ওভারে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন। সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইনিংসের শেষভাগে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই সিনিয়র ব্যাটার জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান ব্যারি ম্যাককার্থি। অধিনায়ক জেকব বেথেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৫ রান।

তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েন কক্সের সঙ্গে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। কক্স খেলেন ৩৭ বলে ৫৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যেখানে ছিল নিয়ন্ত্রিত শটের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত বেন হোয়াইট তাকে বোল্ড করলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত।

বাকি কাজটা সেরে দেন টম ব্যান্টন ও রেহান আহমেদ। ব্যান্টনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ১৭.১ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ