এই স্বাদ নাজমুল হোসেন শান্ত আগেও পেয়েছেন। ২০২৩ সালে মিরপুর শের-ই-বাংলাতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১৪৬। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪। 

বাংলাদেশের হয়ে এই কীর্তি প্রথম করেছিলেন মুমিনুল হক। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭৬ রান করেছিলেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসেও হেসেছিল তার ব্যাট। করেছিলেন ১০৫ রান। শান্ত নিজের নামের পাশে আরেকবার জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তি লিখে নিলেন। 

চলমান গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৫ রান করেন। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ঝকঝকে ১৪৮ রান। তবে অধিনায়ক এটাই প্রথম কীর্তি শান্তর। 

আরো পড়ুন:

যে ভাবনায় শান্ত আরো এক বছর টেস্ট দলের অধিনায়ক

মানহীন পারফরম্যান্সে ক্রিকেট বাজারে অস্থিরতা

টেস্ট ইতিহাসে শান্তর আগে দুবার টেস্টে একাধিকবার জোড়া সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন মাত্র ১৪ জন ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে সুনীল গাভাস্কার, রিকি পন্টিং ও ডেভিড ওয়ার্নার করেছেন তিনবার। শান্তকে নিয়ে দুবার টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আছে শুধু ১২ জনের। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে জোড়া সেঞ্চুরি করা ১৬তম ব্যাটসম্যান শান্ত। 

বিদেশের মাঠে অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরির তালিকায় অষ্টম শান্ত। শ্রীলঙ্কার মাঠে কোনো বিদেশি অধিনায়কের জোড়া সেঞ্চুরির ঘটনা এটিই প্রথম।

৩৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে শান্তর এটি সপ্তম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু মুমিনুল হক (১৩), মুশফিকুর রহিম (১২) ও তামিম ইকবালের (১০)।

এই সিরিজের আগে প্রবল চাপে ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ২২ গজে জোড়া সেঞ্চুরিতে সেই চাপ স্রেফ উড়িয়ে দিলেন। হেলমেট খুলে মুখে চওড়া হাসি ও চিৎকারে শান্ত সব বাঁধা পেরিয়ে লঙ্কা জয় করলেন প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ন তর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা ও বর্তমান বাগেরহাট জেলা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশন কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধীর নামে ভিক্ষুক পুনর্বাসন খাতের বরাদ্দকৃত ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের চরদাহ গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে প্রতিবন্ধী আলমগীর কবির তার বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমানের বিচারের দাবিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন।

সমাজসেবা প্রবেশন কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, ৩০ হাজার টাকা আলমগীর কবিরের মাকে দিয়েছেন। 

প্রতিবন্ধী আলমগীর কবির তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ‘‘কালীগঞ্জ উপজেলা ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর সমাজসেবা অফিস হতে ট্রাই সাইকেল কেনার জন্য আমার নামে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সমাজসেবা কর্মকর্তা শহিদুর রহমান আমার কাছ থেকে দরখাস্ত নিয়ে তার অফিসের হুমায়ন কবিরকে দিয়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, সাতক্ষীরা থেকে আমার নামে একটি ট্রাই সাইকেল গ্রহণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাকে ওই বছরের ২৮ নভেম্বর একটি ট্রাই সাইকেল দেওয়া হয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্প হতে বরাদ্দকৃত ৩০ হাজার টাকা আমাকে না দিয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা শহিদুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন।’’

সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান বলেন, ‘‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন খাতের বরাদ্দকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী আলমগীর কবিরের মায়ের হাতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত ট্রাই সাইেকেলটি তার হাতে দেওয়া হয়েছে।’’ 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ