ঢালিউডের বিতর্কিত অধ্যায়ের সাক্ষী ময়ূরী এখন নিউইয়র্কে
Published: 21st, June 2025 GMT
সিনেমা হলে আলো নেভে, পর্দা জ্বলে ওঠে আর চোখে ভাসে এক নারী, যাকে ঘিরে ছিল তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। নব্বই দশকের শেষ প্রান্তে ঢাকাই চলচ্চিত্রে যখন অশ্লীলতার স্রোত বইছিল, তখন ঝড় তুলে আবির্ভাব ঘটে চিত্রনায়িকা ময়ূরীর। এখন তিনি অনেক দূরে— ভৌগোলিকভাবে যেমন, তেমনি আলোচিত জগত থেকেও।
ময়ূরীর শুরু ‘মৃত্যুর মুখে’ আর শেষ সিনেমা ‘বাংলা ভাই’। মাঝখানে রয়ে গেছে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয়, সাহসী দৃশ্যের একের পর এক তরঙ্গ, আর বিতর্কের বিস্ফোরণ। কাটপিসের চাহিদার তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন ময়ূরী, যাকে নিয়ে একদিকে দর্শকের টান, অন্যদিকে সমাজের কপট মুখভঙ্গি।
অশ্লীলতার তকমায় ঢালিউড যখন নড়বড়ে অবস্থায়, তখনও একের পর এক হিট সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বর্তমান সময়ের দেশ সেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানসহ অনেকেই। তখনকার সময় ঢালিউডে যত সিনেমা নির্মিত হচ্ছে, তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশেই ময়ূরী ছিলেন!
এক সময় এফডিসির আলো, এখন শুধুই নীরবতার নাম ময়ূরী। দেশীয় চলচ্চিত্র যখন সুস্থ ধারায় ফিরতে থাকে, তখন হারিয়ে যেতে থাকেন ময়ূরী। স্টেজ শো আর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট— এসব ছাড়া তার দেখা মেলে না। আর এখন? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই আলোচিত অভিনেত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। নিউইয়র্কে, নিজের দুই সন্তান, মা ও ভাইকে নিয়ে গড়েছেন পারিবারিক স্থিতি। সরাসরি কোনো গণমাধ্যমে কথা বলেন না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে জানান দেন নিজের অস্তিত্ব।
কয়েক বছর আগে ময়ূরী ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিজের জীবনসংগ্রাম ঘিরে ‘ডার্টি পিকচার’-এর আদলে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। অনেকে ভেবেছিলেন, এ যেন এক আত্মজৈবনিক প্রতিবাদের গল্প হবে। কিন্তু সেই স্বপ্নও আলোর মুখ দেখেনি। কেন থেমে গেল সেই উদ্যোগ, সে প্রশ্ন থেকে গেছে।
তবে ইতিহাস বলছে, তিনি ছিলেন এক অ্যাবসার্ড যুগের নায়িকা, যিনি সমালোচনার মধ্যেও আলো ছড়িয়েছেন, সাহসের সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে। আজ তিনি আছেন এক নির্জন আত্মোপলব্ধির জীবনযাপনে। কিন্তু বাংলা সিনেমার ইতিহাসের পৃষ্ঠা ওলটালেই ময়ূরীর নাম চোখে পড়বে, রঙিন কিংবা সাদা-কালো আলোচনায়।
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মামদানির বিজয় ভাষণ শেষে মঞ্চে বাজল ‘ধুম মাচালে’
জোহরান মামদানির জীবনাচারে ভারতীয় টান বেশ প্রবল। ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ তরুণ রাজনীতিক। বিজয় ভাষণেও ভারতীয় রেশ রাখলেন তিনি। বক্তব্য শেষে স্ত্রী আর মা–বাবাকে যখন মঞ্চে ডেকে নেন, তখন বাজছিল বলিউডের জনপ্রিয় ‘ধুম মাচালে’ গানটি।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মেয়র নির্বাচনে ভোচ গ্রহণ হয়। এবারের নির্বাচনে বাঘা রাজনীতিক আর সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের প্রার্থী। ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া সেই কুমোকে হারিয়ে বাজিমাত করেন জোহরান মামদানি।
আরও পড়ুনমীরা নায়ারের সেই ছেলেটি কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথম হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র হলেন১ ঘণ্টা আগেগতকালই নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে সমর্থকদের উদ্দেশে বিজয় ভাষণ দেন জোহরান মামদানি। বক্তব্যে তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ট্রাম্পকে খোঁচা দেন।
বক্তব্য শেষে হাত নেড়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানান জোহরান মামদানি। স্ত্রী সিরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রমা দুওয়াজিকে মঞ্চে ডেকে নেন তিনি। ঠিক তখনই আবহ সংগীত হিসেবে বেজে ওঠে ‘ধুম মাচালে’ গানটি।
এরপর একে একে মঞ্চে আসেন জোহরান মামদানির মা–বাবা। তাঁর মা ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মিরা নায়ার। বাবা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তাঁরা দুজনই জন্মগতভাবে ভারতীয়।
মা–বাবা ও স্ত্রীকে নিয়ে মঞ্চে যখন জোহরান মামদানি আবেগঘন মুহূর্ত পার করছিলেন, তখনও বাজছিল ‘ধুম মাচালে’।
আরও পড়ুননিউইয়র্কে ইতিহাস গড়া জোহরান কেন ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ ধন্যবাদ দিলেন২৬ জুন ২০২৫সমর্থকদের উদ্দেশে কথা বলছেন জোহরান মামদানি। পাশে তাঁর বাবা মাহমুদ মামদানি, স্ত্রী রমা দুওয়াজি ও মা মীরা নায়ার (ডানে)। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে, ৪ নভেম্বর ২০২৫