পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশে কাজ করতেন আব্বাস
Published: 22nd, June 2025 GMT
১৯৭০–এর দশকেই সাড়া জাগিয়েছিলেন ইরানে। দেশের অনেক মানুষের কাছে একসময় তিনি আইকনে পরিণত হন। সিনেমা দিয়ে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ থেকে গোটা বিশ্বে। চলচ্চিত্র অঙ্গনের নতুন সম্ভাবনার দ্বার সূচিত করা মানুষটির নাম চলচ্চিত্র পরিচালক আব্বাস কিয়ারোস্তামি। আজ ২২ জুন তাঁর জন্মদিন। একসময় পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশে কাজ করতেন আব্বাস। তারপরের গল্প যেন সিনেমার মতোই। শিশুদের জন্য ভিডিও বানানো এক শিক্ষক কীভাবে চলচ্চিত্রবিশ্বে জায়গা করেন নেন? কেন এখনো তিনি অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক?
কিয়ারোস্তামি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় পড়াশোনা করে গ্রাফিকস ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করে। তখনো সিনেমা তাঁকে ততটা পায়নি। সে সময়ই তিনি শিশু–বয়স্কদের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে (দ্য সেন্টার ফর দ্য ইন্টেলেকচুয়াল ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়াং অ্যাডাল্ট) যোগ দেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁর মনে হয়, পাঠদানের চেয়ে শিশুদের ভিজুয়াল কোনো মাধ্যমে শেখালে কেমন হয়? এই প্রথম শিশুদের জন্য হাতে তুলে নেন ক্যামেরা। বানিয়ে ফেলেন ভিডিও চিত্র, যার মূল বিষয় ছিল, একটি ছোট শিশুর হাতে রুটি। এটি কিনে শিশুটি বাড়ি ফিরছে। হঠাৎ একটি কুকুর তার পিছু নেয়। একসময় সামনে এসে দাঁড়ায়। ভয়ে কুঁকড়ে যায় শিশুটি। এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা কী করবে?
এমন প্রশ্নে ইরানের অভিভাবকেরাও তখন শঙ্কিত ছিলেন। কারণ, রাস্তায় প্রায়ই কুকুর দেখে শিশুরা ভয় পেত। ভিডিওটিতে এর উত্তর দেন কিয়ারোস্তামি। তিনি ভিডিওতে দেখান, শিশুটি নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরে তার মাথায় বুদ্ধি খেলা করে। রুটির কিছুটা অংশ ছুড়ে ফেললে দেখা যায়, কুকুর সেটা খেতে থাকে। কিছুটা দূরে ছুড়ে দিলে কুকুরও দূরে দৌড়ে চলে যায়। কুকুর তখন শিশুটির বশ্যতা মানে। এ সময় শিশুটি দৌড়ে তার বাসায় চলে আসে।
১৯৭০–এর দশকেই সাড়া জাগিয়েছিলেন ইরানে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জোহরান মামদানির জয়: নিউইয়র্কের ইহুদিদের ইসরায়েলে চলে আসতে বলছেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে হামাসের (ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন) সমর্থক আখ্যা দিয়ে সেখানে বসবাসকারী ইহুদিদের ইসরায়েলে চলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির এক মন্ত্রী।
গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে বিপুল ভোটে হারিয়ে নতুন মেয়র হয়েছেন জোহরান মামদানি। পরদিন গতকাল বুধবার ইসরায়েলের কট্টর দক্ষিণপন্থী ওই মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
৩৪ বছর বয়সী দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ও অভিবাসী পরিবারের সন্তান জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি আন্দোলনের পক্ষে কথা বলে আসছেন। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় তিনি যেমন স্পষ্টভাবে ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা জানিয়েছেন, তেমনি নিজে ইসলামবিদ্বেষের শিকার হওয়া নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।
যে শহর (নিউইয়র্ক) একসময় বৈশ্বিক স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিল, সেই শহর এখন নিজের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছে এক হামাস সমর্থকের (জোহরান মামদানি) হাতে।আমিখাই চিকলি, ইসরায়েলের মন্ত্রীইসরায়েলের প্রবাসী ও ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধবিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই চিকলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লেখেন, ‘যে শহর (নিউইয়র্ক) একসময় বৈশ্বিক স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিল, সেই শহর এখন নিজের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছে এক হামাস সমর্থকের হাতে।’
এই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিউইয়র্ক কখনো আর আগের মতো থাকবে না, বিশেষ করে ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য। আমি নিউইয়র্কের ইহুদিদের ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নিজেদের নতুন বসতি গড়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আমন্ত্রণ জানাই।’
আরও পড়ুনজোহরান মামদানিকে বেছে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে: ডোনাল্ড ট্রাম্প১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলকে নিয়ে কথা বলার সময় জোহরান মামদানি দেশটিতে ‘বর্ণবৈষম্যমূলক শাসনব্যবস্থা’ চলছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া তিনি ইসরায়েলে গাজা যুদ্ধকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে বর্ণনা করেছেন। এসব কারণে ইহুদি সম্প্রদায়ের একাংশের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। যদিও নিউইয়র্কে ইহুদিদের একাংশ তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং তাঁর পক্ষে ভোটের প্রচার চালিয়েছেন।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিজয় ভাষণের মঞ্চে স্ত্রী রামা দুয়াজিকে নিয়ে জোহরান মামদানি। ৫ নভেম্বর ২০২৫