চট্টগ্রামে লরির পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, চালক ও সহকারী নিহত
Published: 22nd, June 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লোহার অ্যাঙ্গেলবাহী লরির পেছনে স্ক্র্যাপবাহী একটি ট্রাকের ধাক্কায় চালক ও তাঁর সহকারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদীঘি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চালকের নাম ফারুক হোসেন (৩৯)। তিনি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ির বসু মিয়াপাড়া এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। নিহত আরেকজন রবিউল ইসলাম (৩৫) টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার চকতৈল গ্রামের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকামুখী লেনে চলা স্ক্র্যাপবাহী ট্রাকটি সামনের লোহার অ্যাঙ্গেলবাহী একটি লরিকে ধাক্কা দিলে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক ফারুক হোসেন। ট্রাকের ভেতরে আটকে পড়া চালকের সহকারী রবিউল ইসলামকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চালককে মৃত ও তাঁর সহকারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনিও মারা যান।’
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরেকজন মারা যান। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিউমার্কেট থেকে ১১০০ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকার কয়েকটি দোকান ও গুদামে শনিবার অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এসব অস্ত্র বিক্রি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ আর্মি ক্যাম্পে শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক বিগ্রেডের ডেয়ারিং টাইগার্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি এই আইটেমগুলো (ধারালো অস্ত্র) কোনো একটা জায়গা থেকে সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে হচ্ছে এবং গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে, এমনকি ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু সময় ফ্রি ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে, হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ঢাকার কোনো একটি জায়গা থেকে এই আইটেমগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে দেওয়া হয়।’
নাজিম বলেন,‘আমাদের কাছে গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা স্বীকার করেছে, একটা স্থান থেকে তারা এই সামুরাইগুলো সাপ্লাই পাচ্ছে। এরপর আমরা আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি। গত কয়েক দিন ধরে আমাদের গোয়েন্দারা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে খোঁজ নেয় এবং নিশ্চিত হয় যে, কোন কোন স্থানগুলোতে এই ধারালো অস্ত্রগুলো পাওয়া যাবে। এর ভিত্তিতে আমরা আজ (শনিবার) নিউমার্কেটে গিয়ে তিন থেকে চারটি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে এই ধারালো অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হই।’
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আজ আমরা এই কাজে জড়িত হিসেবে নয়জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। মোট তিনটি দোকান থেকে মূল এই আইটেমগুলো পাওয়া যায়। আমরা গত কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করেছি, সন্ত্রাসীরা এই ধরনের দেশি অস্ত্রই বেশি ব্যবহার করে। গত তিন-চার মাস ধরে এগুলো বিশাল আকারে মজুত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের হাতে দেখা যাচ্ছে।’