রাজনীতি থেকে কেন নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সৌরভ
Published: 22nd, June 2025 GMT
টিভি সিরিয়াল থেকে শুরু করে ওটিটি। এক সময় একচেটিয়া প্রায় সব সিরিজেই যেত সৌরভ দাসকে। বিশেষ করে মন্টু চরিত্রটি তাকে খ্যাতি এনে দিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা শক্ত করে পা দিয়েছেন বড় পর্দায়। অভিনয়ের ফাঁকে রাজনীতিতে সরব তিনি। তবে এখন তিনি সেখান থেকে অনেকটাই সড়ে এসেছেন। বুঝেছেন রাজনীতি তাকে দিয়ে হবে না।
ভারতীয় গণমাধমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ দাস বলেন, ‘২০২১ সালে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। তারপর বিধানসভা, লোকসভা ভোট মিলিয়ে তিন থেকে চার বার আমি প্রচারে গিয়েছি। সেখানে কোনও টাকাপয়সার লেনদেন ছিল না। দলে যোগ দিয়েই বুঝে গিয়েছিলাম রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। কিছুই বুঝি না। রাজনীতিতে থাকতে গেলে চামড়া মোটা করতে হবে। সেটা বুঝেছিলাম। তবে এখন একেবারেই রাজনীতিতে থাকতে চাই না আমি।’
সম্প্রতি বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবিতে কাজ করছেন সৌরভ। এই নির্মাতার ছবিতে যারা অভিনয় করেন ধরে নেওয়া হয় বেশির ভাগ অভিনেতাই বিজেপি মতাদর্শে বিশ্বাসী। সে ক্ষেত্রে সৌরভ আলাদা জায়গা পেয়েছেন।
সৌরভ বলেন, ‘যেটা আমার হাতে নেই সেটা নিয়ে আমি ভাবি না। ছবিতে যে চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি তা খুব লোভনীয়। তাই রাজি হয়েছি। এটা আমার কাছে পরিষ্কার। কারণ, এই ছবিতে অভিনয় করে যে খুব বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছি তা নয়। নিজের চরিত্র ছাড়া ছবির বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। হতে পারে পরিচালকের বিরুদ্ধে কোনও দল আছে। হতে পারে ‘প্রোপাগান্ডা’ ছবি বলে কারও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সবটাই তো তারা ছবির নিরিখে দেখছেন। আমার চরিত্র কোনও দলকে গালিগালাজ করছে না। আমি নিজের চরিত্র নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।’
সম্প্রতি স্ত্রী দর্শনা বনিকের মা হওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে টালিউজ জুড়ে। সে বিষয়টি পরিস্কারও করেছে সৌরভ দাস। তার ভাষ্য, ‘বিষয়টি আমি দর্শনার থেকে শুনেছি। শোনার পর আকাশ থেকে পড়েছি। এখন এমন কোনও পরিকল্পনাই আমাদের নেই। দর্শনাকে বিয়ের আগেই বলেছিলাম আমায় বিয়ে করলে জীবনে কিন্তু অনেক বিতর্ক তৈরি হবে। এখন এসব গায়ে মাখি না।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দাবি রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল এবং বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এগ্রোনমি ও এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ, মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আরো পড়ুন:
রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
রাকসু ফান্ডে জমা ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, হল সংসদের ফান্ড অস্পষ্ট
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে এবং দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম-খুন ও নির্যাতনের অবসান হয়। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের প্রত্যাশা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অবসান এবং গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই প্রত্যাশা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতাও প্রায় একই রকম। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, আবাসন, যাতায়াত, পেশাগত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। এসব জরুরি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার ঘোষিত সুবিধা বহাল রয়েছে। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তা কার্যকর হয়নি।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বাইরে কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নয়। তাই এখানেও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য একই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
অফিসার সমিতি সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, “পোষ্য কোটা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা এক নয়। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাই, কোটা নয়। আমাদের সন্তানরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই এখানে ভর্তি হোক এটা চাই।”
রাবি/ফাহিম/সাইফ