ঘোষিত সময়ে জুলাই সনদ দিতে সরকারকে আহ্বান
Published: 22nd, June 2025 GMT
জুলাই সনদ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাত্র ৩ কার্যদিবস আগেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জুলাই যোদ্ধা সংসদ। তারা সরকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, সরকার প্রতিশ্রুতি পালন না করলে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন তারা।
রোববার রাজধানীর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব কথা জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুলাই যোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আরমান হোসেন শাফিন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মুখপাত্র মুশফিকুর রহমান আশিকসহ অন্যান্য নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে সরকার যে ৩০ কার্যদিবসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল, তা শেষ হতে আর মাত্র ৩ দিন বাকি। অথচ এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল– জুলাই মাসের মধ্যেই এই সনদ ঘোষণা করা হবে। তারা সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে নিজেদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিতও করেন। কিন্তু বারবার সময়ক্ষেপণ ও অজানা অনিশ্চয়তা তাদের শঙ্কিত করে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, দ্রুততম সময়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ ও ঘোষণার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন ‘জুলাই সনদ’ দেওয়া নিশ্চিত হয়। সরকার যেন বিষয়গুলো যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে।
সংগঠনের আহ্বায়ক আরমান হোসেন শাফিন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি বা জটিলতা সৃষ্টি হয়, তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরও কার্যকর কর্মসূচি দিতে প্রস্তুত আছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য জ ল ই সনদ ই সনদ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস উদ্যাপন
ঢাকায় দশম জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস-২০২৫ উদ্যাপন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন। ‘মানুষের জন্য আয়ুর্বেদ, গ্রহের জন্য আয়ুর্বেদ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গলবার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (আইজিসিসি) দিবসটি উদ্যাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, যোগব্যায়াম অনুশীলনকারী এবং বাংলাদেশি ইয়ুথ ডেলিগেশনের সদস্যসহ বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।
স্বাগত বক্তব্যে আইজিসিসির পরিচালক অ্যান ম্যারি জর্জ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতির গভীর বন্ধনের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভূ-জলবায়ুগত সাদৃশ্যের কারণে দুই দেশে একই ধরনের ঔষধি গাছ পাওয়া যায়। গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। তিনি আরও বলেন, আয়ুর্বেদ, ইউনানি, যোগব্যায়াম ও হোমিওপ্যাথি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আয়ুর্বেদ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত যান, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করছে।
সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ডা. সারিক হাসান খান তাঁর বক্তব্যে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবায় আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ‘জার্নি অব আয়ুর্বেদ’ শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া ছিল যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক শাহানাজ পারভীন শিখার নেতৃত্বে যোগব্যায়াম প্রদর্শনী ও ইয়োগা ব্লিসের প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা সুলতানা করিমের পরিচালনায় একটি ইন্টারেক্টিভ যোগ সেশন। সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ ডা. সারিক হাসান খান প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবায় আয়ুর্বেদের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এই আয়োজনটি ‘সুস্থ ভারত যোজনা’ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। এটি ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণার মাধ্যমে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের সমন্বিত স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধন আরও দৃঢ় করতেই এই উদ্যাপনের আয়োজন করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।