জুলাই সনদ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাত্র ৩ কার্যদিবস আগেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জুলাই যোদ্ধা সংসদ। তারা সরকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, সরকার প্রতিশ্রুতি পালন না করলে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন তারা।

রোববার রাজধানীর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব কথা জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুলাই যোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আরমান হোসেন শাফিন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মুখপাত্র মুশফিকুর রহমান আশিকসহ অন্যান্য নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে সরকার যে ৩০ কার্যদিবসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল, তা শেষ হতে আর মাত্র ৩ দিন বাকি। অথচ এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল– জুলাই মাসের মধ্যেই এই সনদ ঘোষণা করা হবে। তারা সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে নিজেদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিতও করেন। কিন্তু বারবার সময়ক্ষেপণ ও অজানা অনিশ্চয়তা তাদের শঙ্কিত করে তুলছে।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, দ্রুততম সময়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ ও ঘোষণার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন ‘জুলাই সনদ’ দেওয়া নিশ্চিত হয়। সরকার যেন বিষয়গুলো যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। 

সংগঠনের আহ্বায়ক আরমান হোসেন শাফিন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি বা জটিলতা সৃষ্টি হয়, তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরও কার্যকর কর্মসূচি দিতে প্রস্তুত আছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য জ ল ই সনদ ই সনদ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন এক হাতে লড়াই করেছেন বদরুদ্দীন উমর

প্রয়াত বামপন্থী রাজনীতিক ও তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর শাসকশ্রেণির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন লেখনীর মাধ্যমে এক হাতে লড়াই করে গেছেন। শাসকশ্রেণির নির্মিত ইতিহাসে মিথ্যার মূর্তি ভেঙে দিয়েছেন। অতীতের গণসংগ্রামের নায়ক হিসেবে জনগণকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

পিকআপ ভ্যান শ্রমিক ঐক্য আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরুদ্দীন উমর মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।

শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ আলমগীর স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শফী রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের রফিক আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায় ও ঢাকা অঞ্চলের সম্পাদক মো বুরহান। স্মরণসভার শুরুতে প্রয়াত বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

স্মরণসভায় ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘কমরেড বদরুদ্দীন উমর শাসকশ্রেণির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন লেখনীর মাধ্যমে এক হাতে লড়াই করে গেছেন। অতীতের গণসংগ্রামের নায়ক হিসেবে জনগণকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’

শফী রহমান বলেন, বড়লোকশ্রেণির শাসনকাঠামো উচ্ছেদ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনা এবং সামাজিক মালিকানা কায়েমের লক্ষ্যে বদরুদ্দীন উমর আজীবন কাজ করে গেছেন।

রফিক আহমেদ বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার উচ্ছেদ হয়ে গেলেও শ্রমজীবী জনগণের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন এক হাতে লড়াই করেছেন বদরুদ্দীন উমর