ঢাবির প্রোভিসির সঙ্গে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের হট্টগোল
Published: 23rd, June 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের শিক্ষকদের একটি বৈঠকে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। পরে ‘সংশোধনের’ জন্য প্রোভিসিকে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে বেরিয়ে যান সাদা দলের শিক্ষকরা।
গতকাল রোববার প্রশাসনিক ভবনে প্রোভিসির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অধ্যাপক মামুনও সাদা দলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
সাদা দলের শিক্ষকরা অভিযোগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুয়েত-মৈত্রী হলের সহসভাপতি সাদিয়া আফরিনকে পপুলেশন্স সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ; আওয়ামীপন্থি নীল দলের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক, বিতর্কিত একাধিক শিক্ষককে রিসার্চ এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রদানসহ নানা বিষয়ে অধ্যাপক মামুনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রায় ২ ঘণ্টার আলোচনা শেষে সাত দিনের মধ্যে এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করার আলটিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ছাড়েন শিক্ষকরা।
তবে অধ্যাপক মামুন আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে সমকালকে বলেন, কারও কারও মনে হতে পারে নিয়োগে রাজনৈতিক ভূমিকা থাকার প্রয়োজন ছিল, তবে তিনি মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এজন্য এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ডে আমি ছাড়াও বিভাগের চেয়ারম্যানসহ আরও চার সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া সিন্ডিকেটে নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। সেখানেও কেউ প্রশ্ন তোলেনি। এখন দুই মাস পরে বিষয়টি তোলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিন্ডিকেটে আরও আলোচনা হতে পারে।
সময় দেওয়ার কথা জানিয়ে বৈঠক শেষে সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের সনাতনীদের নিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০–এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোরও পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে দেবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার মাঝে একটা রাজনীতি আছে। এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কিছু গুজবের কারণে। ভারতে এসব দাঙ্গা এখনো চলমান। রাজনৈতিক কুটিলতার মধ্যে এ সাম্প্রদায়িকতা এখন না, হাজার বছর আগে থেকে আছে।
কোনো মানুষ কিংবা ধর্ম সাম্প্রদায়িক নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কখনো কোনো কিছু মোকাবিলা করার জন্য দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করাতে হয়। যাতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরেক দিকে চলে যায়। এইচ এম এরশাদও ’৮৮ সালে এ কাজটা করেছিলেন। বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু, হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে।
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আমি হিন্দু–মুসলমানের ব্যবধান বুঝি না। আমি খারাপ আর ভালো লোকের ব্যবধান বুঝি। সৎ লোক–প্রতারকের ব্যবধান বুঝি। আমি সাম্প্রদায়িকতা পছন্দ করি না, অসাম্প্রদায়িক জীবন যাপন করতে পছন্দ করি।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমান আমরা একটা বৃহত্তর সংস্কৃতির অংশ। এখানে কোনো প্রভেদ ছিল না, কোনো বিভেদ ছিল না। এটাকে শেখ হাসিনা ভাঙতে চেয়েছেন।
দেখাতে চেয়েছেন এই দেশ বিভেদ–বিভাজনে ভরপুর। সুতরাং আমাকে সমর্থন করো। অন্য বিরোধী দল কাউকে সমর্থন করবে না। এ কারণে তিনি জোর করে জনসমর্থন ব্যতিরেকে দিনের ভোট রাতে করে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দিয়ে নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট করেছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছেন।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর সরাফত আলী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।