ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের শিক্ষকদের একটি বৈঠকে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। পরে ‘সংশোধনের’ জন্য প্রোভিসিকে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে বেরিয়ে যান সাদা দলের শিক্ষকরা। 

গতকাল রোববার প্রশাসনিক ভবনে প্রোভিসির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অধ্যাপক মামুনও সাদা দলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।

সাদা দলের শিক্ষকরা অভিযোগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কুয়েত-মৈত্রী হলের সহসভাপতি সাদিয়া আফরিনকে পপুলেশন্স সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ; আওয়ামীপন্থি নীল দলের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক, বিতর্কিত একাধিক শিক্ষককে রিসার্চ এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রদানসহ নানা বিষয়ে অধ্যাপক মামুনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রায় ২ ঘণ্টার আলোচনা শেষে সাত দিনের মধ্যে এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করার আলটিমেটাম দিয়ে কার্যালয় ছাড়েন শিক্ষকরা।  

তবে অধ্যাপক মামুন আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে সমকালকে বলেন, কারও কারও মনে হতে পারে নিয়োগে রাজনৈতিক ভূমিকা থাকার প্রয়োজন ছিল, তবে তিনি মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এজন্য এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।  

তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ডে আমি ছাড়াও বিভাগের চেয়ারম্যানসহ আরও চার সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া সিন্ডিকেটে নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। সেখানেও কেউ প্রশ্ন তোলেনি। এখন দুই মাস পরে বিষয়টি তোলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিন্ডিকেটে আরও আলোচনা হতে পারে। 

সময় দেওয়ার কথা জানিয়ে বৈঠক শেষে সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড.

মো. আবুল কালাম সরকার বলেছেন, বিষয়গুলো সংশোধনের জন্য আমরা তাঁকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। ‘মেধা’ ও ‘স্বচ্ছতা’র নামে যদি ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বৈঠকে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান উপস্থিত ছিলেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র দল র শ ক

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‍মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান। 

তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত

ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।

তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।

দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।

অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ