দলবদলের বাজারে ভালোই আলোড়ন তুলেছে লিভারপুল। গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি ব্যয় করে তিনজনকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। এর মধ্যে ফ্লোরিন উইর্টজকে রেকর্ড ১১৬ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে টেনেছে। কদিনের মধ্যে আরও একটি বিগ সাইনিং দেখা যেতে পারে। ভাঙতে পারে উইর্টজের ট্রান্সফার রেকর্ডও। নিউক্যাসলের সুইডিশ স্ট্রাইকার আলেকসান্দার ইসাককে দলে টানতে তিন অঙ্কের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে লিভারপুল। শুধু তাই নয়, ক্রিস্টাল প্যালেসের তারকা সেন্টারব্যাক মার্ক গুয়েহিও নাকি লিভারপুলে আসছেন। তাই আগামী মৌসুমে আরও শক্তিশালী চেহারায় দেখা যাবে লিভারপুলকে।
তবে ইসাকের জন্য প্রায় ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দাম হেঁকেছে নিউক্যাসল। ২৫ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকারের এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে লিভারপুল। অলরেডদের জন্য ইতিবাচক বিষয় হলো ইসাক লিভারপুলে আসতে আগ্রহী। আর ডারউইন নুনেজকে নিতে চাইছে ন্যাপোলি। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারকে বিক্রি করতে পারলে ইসাককে দলে টানার পথটা মসৃণ হয়ে যাবে লিভারপুলের। রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে ফ্লোরিয়ান উইর্টজকে এক সপ্তাহ আগে নিশ্চিত করে অলরেডরা। গত শুক্রবার কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে অলরেড হয়েছেন এ জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। তাঁকে স্বাক্ষর করানোর দিনে বোর্নমাউথ থেকে উইংব্যাক মিলোস কেরকেজকেও নিশ্চিত করেছে লিভারপুল।
এর আগে লেভারকুজেন থেকে আরেক উইংব্যাক জেরেমি ফ্রিমপংকে দলে টেনেছে তারা। ফলে আগামী মৌসুমে দুই নতুন উইংব্যাক দেখা যাবে দলে। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আরনল্ড রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার বিষয়টি আগেভাগে নিশ্চিত হওয়ায় তারা দ্রুতই ডাচ ডিফেন্ডার ফ্রিমপংকে দলে ভেড়ায়। বোর্নমাউথ থেকে হাঙ্গেরিয়ান ডিফেন্ডার কেরকেজকে দলে টানার গুঞ্জনও বেশ কিছু দিন ধরে চলছিল। তাঁর আসার খবরেই আরনল্ডের দীর্ঘদিনের সঙ্গী রবার্টসনও চলে যেতে চাইছেন। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে যেতে পারেন তিনি। তরুণ ডিফেন্ডার জারেল কোয়েনশাও দল ছাড়তে পারেন। যেতে পারেন লেভারকুজেনে। আরেক সেন্টারব্যাক ইব্রাহিম কোনাতের দিকেও নাকি নজর পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। এসব বিবেচনায় মার্ক গুয়েহিকে দলে টানতে চাইছে লিভারপুল।
বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবকে টেক্কা দিয়ে উইর্টজকে দলে টেনে সবাইকে চমকে দিয়েছেন লিভারপুল বস আর্নে স্লট। কারণ ২২ বছর বয়সী এ জার্মান প্লেমেকার লম্বা রেসের ঘোড়া। অনেকের মতে, ব্যালন ডি’অর জেতার সামর্থ্যও রয়েছে তাঁর। উইর্টজ অবশ্য এত কিছু নিয়ে ভাবছেন না। শুধু লিভারপুলের হয়ে ম্যাচ জিততে চান তিনি, ‘সত্যিই আমি খুব খুশি, ভীষণ গর্বিতও। অবশেষে এটা হলো, অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। সামনের নতুন অভিযান নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। আমার ক্লাব পরিবর্তনের ভাবনায় এটাও বড় একটা ব্যাপার ছিল, বুন্দেসলিগা থেকে প্রিমিয়ার লিগে আসা এবং পুরোপুরি নতুন করে পথচলা শুরু করা।’
লিভারপুলের মাঝমাঠ এমনিতেই বেশ শক্তিশালী। তাঁকে নিয়ে আরও সৃষ্টিশীল ও ধারালো হবে অলরেডরা। উইর্টজও ক্লাবকে নিয়ে যেতে চান নতুন উচ্চতায়, ‘আমার তো ভালো লাগবে প্রতিবছরই জিততে পারলে। তবে সবকিছুর আগে নিজেদের কাজ করতে হবে। দিন শেষে আমরা সাফল্য চাই। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে এ ক্লাব। সামনে মৌসুমে তা ধরে রাখতে চাইব এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চাইব আরও এগিয়ে যেতে। আমি সত্যিই উচ্চাকাঙ্ক্ষী!’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অলর ড
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে রিমান্ড শেষে ছাত্রলীগ নেতা হানিফ কবিরকে আদালতে প্রেরণ
বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে ধৃত জেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হানিফ কবির (৩৭)কে ১ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(১১)২৫ নং মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তাকে পুনরায় আদালতে প্রেরণ করা হয।
এর আগে গত রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চর ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
রিমান্ডপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা হানিফ কবির বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চর ইসলামপুর এলাকার মৃত রফিক সরদারের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা মেগাসিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে
জড়ো হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠন ৫০/৫৫ জনের একটি দল।
পরে তারা শেখ হাসিনা ও অয়ন ওসমানের ব্যানারে একটি ঝটিকা মশাল মিছিল বের করলে তা পুলিশের নজরে আসলে ওই সময় পুলিশ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেল যোগে বি়ভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে দ্রুত ঢাকা দিকে চলে যায়।
পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে জেলা ছাত্রলীগ নেতা হানিফ কবিরকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।