নোয়াখালীর হাতিয়ায় যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট ডুবে গেছে। সোমবার উপজেলার বউবাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ২৭ যাত্রী ও চালককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানঘাট থেকে নলচিরা যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল স্পিডবোটটি। সেটি বউবাজার এলাকায় পৌঁছলে তলা ফেটে পানি ঢুকে ডুবে যায়।

প্রাণে রক্ষা পাওয়া পল্লিচিকিৎসক ফয়সালের ভাষ্য, ২৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি চেয়ারম্যানঘাট থেকে রওনা হয়েছিল। বেশি যাত্রী বহনে তারা চালককে নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি। সেটি মেঘনা নদীর বউবাজার এলাকায় পৌঁছলে তলা ফেটে পানি ঢুকতে থাকে। এ সময় যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এলাকাবাসীর সহায়তায় তারা তীরে উঠতে সক্ষম হন।

নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশীষ চন্দ্র সাহা বলেন, স্পিডবোটটি যেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, সেখান থেকে তীর বেশি দূরে ছিল না। যে কারণে যাত্রী ও চালক সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে ইসলামী ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ইসলামী ব্যাংকের শাখায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। 

রবিবার দিবাগত (১৬ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে সিংগাইর শহীদ রফিক সড়কের দেওয়ান প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত শাখায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। 

আরো পড়ুন:

‘আমি এতিম হয়ে গেলাম রে’

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু

ব্যাংক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পুরো শাখায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশের লোকজন ধোঁয়া দেখে বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানানোর পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সিংগাইর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিংগাইর শাখার ম্যানেজার রমজান আলী বলেন, “রাতের কোনো এক সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

উপজেলা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মহিবুর রহমান বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার পর দুটি ইউনিট পাঠাই। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়ায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে, তদন্তের পর কারণ জানা যাবে।”

ঢাকা/চন্দন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ