দুজনেই বড় তারকা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের জীবনের সবকিছু নিয়েই সাধারণ্যে একটা বাড়তি আগ্রহ থাকে। তবে নিজেরা প্রচারের আলোতে থাকলেও আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলি দম্পতি তা থেকে দূরে রাখছেন সন্তানদের। পারতপক্ষে তাঁদের জনসম্মুখে খুব একটা আনেন না। বড় করতে চাইছেন অন্য সব বাচ্চাদের মতোই।

৪ বছর বয়সী মেয়ে ভামিকা ও ১৫ মাস বয়সী ছেলে আকায়কে কীভাবে বড় করছেন, সেই গল্প এবার সামনে এনেছেন আনুশকা। পেশাদার জীবন, সামনে কীভাবে সন্তানদের দেখাশোনা করেন, তা জানিয়েছেন ভোগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। আনুশকা বলেছেন, তিনি এমন সন্তান গড়ে তুলতে চান, যেন তারা মানুষকে সম্মান করে।

আরও পড়ুনবুমরা ‘কোহিনুর হীরার মতোই মূল্যবান’১ ঘণ্টা আগে

আনুশকা বলেছেন, ‘(সন্তান) বড় করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যেভাবে তা করবেন, তারা তেমনভাবে দুনিয়াটাকে দেখবে। আমি খুবই প্রগতিশীল এক পরিবার থেকে এসেছি। আমাদের পরিবারে মূল ভিত্তি হচ্ছে ভালোবাসা—আমাদের জন্য যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সন্তানেরা যেন মানুষকে সম্মান করে। আপনাকে তা গড়ে দিতে হবে। আমরা চাই না আমাদের সন্তানেরা বখে যাক।’

ক্রিকেট নিয়ে সারা বছরই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে কোহলিকে। এখন যদিও ওয়ানডে ছাড়া বাকি দুই সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন। আনুশকারও পেশাদারি জীবনে ব্যস্ততা কম নয়—বছর কয়েক আগেও বলিউডের সবচেয়ে ব্যস্ত নায়িকাদের একজন ছিলেন। এখন যদিও নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে নিয়েছেন।

কীভাবে সন্তান পালনের এই দায়িত্ব ভাগাভাগি করেন? এই প্রশ্নের উত্তরে আনুশকা বলেন, ‘আমরা কখনো এটাকে আলাদা করে বাবা কিংবা মায়ের দায়িত্ব হিসেবে দেখি না। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সন্তানেরা একটা ভারসাম্যের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে কি না, সেটি। এখানে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার বিষয় আছে। আমি প্রাথমিক যত্নটা নেই, বিশেষত, প্রথম কয়েক বছর—এটাই বাস্তবতা।’  

এরপর দুজনের পেশাদারি জীবনের ভিন্নতার কথাও বলেছেন আনুশকা, ‘আমার তো স্বাধীন পেশা, আমি এই সিদ্ধান্তটা নিতে পারি কখন কাজ করব—বছরে একটা সিনেমা করব না দুইটা। বিরাটকে সারা বছর খেলতে হয়। যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো পরিবার হিসেবে আমরা যে সময়টা একসঙ্গে কাটাচ্ছি।’

আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলির দ্বিতীয় সন্তান অকায়। ১৫ মাস বয়সী অকায় এখন বোন ভামিকার খেলার সঙ্গী.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে রিমান্ড শেষে ছাত্রলীগ নেতা হানিফ কবিরকে আদালতে প্রেরণ 

বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে ধৃত জেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হানিফ কবির (৩৭)কে ১ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১১(১১)২৫ নং মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে  বিজ্ঞ আদালত রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে  জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তাকে পুনরায় আদালতে প্রেরণ করা হয।

এর আগে গত রোববার (৯ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চর ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

রিমান্ডপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা হানিফ কবির বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চর ইসলামপুর এলাকার মৃত রফিক সরদারের ছেলে।

জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৯টায় বন্দর থানার  ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা মেগাসিটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে
জড়ো হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠন ৫০/৫৫ জনের একটি দল।

পরে তারা শেখ হাসিনা ও অয়ন ওসমানের ব্যানারে একটি ঝটিকা মশাল মিছিল বের করলে তা পুলিশের নজরে আসলে ওই সময় পুলিশ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় ১৫/২০টি মোটরসাইকেল যোগে বি়ভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে দ্রুত  ঢাকা দিকে চলে যায়।

পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে জেলা ছাত্রলীগ নেতা হানিফ কবিরকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ