অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেব-শুভশ্রী, সাবেক প্রেমিক জুটির রসায়ন দেখার অপেক্ষায় ভক্তরা
Published: 23rd, June 2025 GMT
সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বড় পর্দায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ধূমকেতু’। ভক্তরা তাঁদের ভালোবাসার সেই জুটি দেব-শুভশ্রীকে আবার পর্দায় দেখার জন্য আছেন অধীর অপেক্ষায়। এই ছবিই এখন পর্যন্ত তাঁদের জুটির শেষ ছবি। দিন কয়েক আগেই জানা গেছে, ১৪ আগস্ট মুক্তি পাবে কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমাটি। এবার এল সিনেমাটির প্রথম ঝলক, যেখানে পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখা গেছে সাবেক এই জুটিকে।
সোমবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির টিজার। পাহাড়ে ঢাকা বরফে দেখা গেল দেবকে। পরে আছেন সেনার পোশাক। ওই ঠান্ডাতেও খালি স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে বক্সিং করছেন। ভয়েস ওভারে শোনা যায়, ‘৯ বছর ধরে খালি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি কোনো দোষ না করে, মৃত্যু আমাকে ঘরছাড়া করে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, আমি মৃত্যুকে আর ভয়ই পাই না।’
দেব-শুভশ্রীর বিয়ে, রোম্যান্স—সমস্তটাই ঝলকে এল টিজারে। দেখা গেল, প্রস্থেটিকে ৮০ বছর বয়সীর সাজে দেবের সেই ভাইরাল লুকও। চিরঞ্জিত, রুদ্রনীল, পরমব্রতদেরও দেখা পাওয়া গেল। বেশ টান টান টিজার। স্পষ্ট বোঝা গেল, কোনো এক দেশদ্রোহের প্রতিবাদ করেছিলেন দেবের চরিত্র। কিন্তু আইনের চোখে তাতেই তিনি অপরাধী।
নিজের পরিবার, ভালোবাসা সব থেকে দূরে, পালিয়ে বেরিয়েছেন দীর্ঘ সময়। তারপর কীভাবে আসবেন ফিরে? কীভাবে নেবেন প্রতিশোধ? জবাব মিলবে ১৪ আগস্ট।
টিজারে দেব ও শুভশ্রীকে দেখা গেছে পর্দায় চুম্বনের দৃশ্যেও।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর দ য়
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্রদল, পুরান ঢাকায় জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল। একই ঘটনায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, হলপাড়া ঘুরে মিছিল নিয়ে আবার টিএসসির ডাস চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শাখা ছাত্রদল।
সমাবেশে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির সাহসী সহযোদ্ধা জোবায়েদ হোসেনকে দুষ্কৃতকারীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আগস্ট-পরবর্তী সময়ের অন্তর্বর্তী সরকার নিরাপত্তার চাদরে দেশকে ঢেকে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খুন, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘আমি শুধু দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, জোবায়েদ হোসেনের হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে হত্যাকারীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেবল বিক্ষোভ মিছিল করেই থেমে থাকবে না, বরং আমাদের বিক্ষোভ-সমাবেশকে আরও বেগবান করার জন্য আমরা আমাদের মতো করে কর্মসূচি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করব।’
কবি জসিমউদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামীম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত দেখেছি, সাম্য (শাহরিয়ার আলম সাম্য) হত্যার বিচার পাইনি। পারভেজ হত্যাকাণ্ডের বিচারও হয়নি। সুতরাং আমরা আশঙ্কা করছি, জুবায়েদ হত্যাকাণ্ডের বিচারও হয়তো একইভাবে আড়ালে হারিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অতি দ্রুত তাঁদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।’
এদিকে জোবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর রাত ১১টার দিকে জোবায়েদ হত্যার বিচারের দাবিতে তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেন তাঁরা।
জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদে আরমানিটোলার মাহুতটুলীতে নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা