হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে স্পিডবোটডুবি, সাঁতরে কূলে উঠলেন ২৮ যাত্রী
Published: 23rd, June 2025 GMT
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। স্পিডবোটে থাকা ২৮ জন যাত্রী সবাই অক্ষত অবস্থায় সাঁতরে কূলে ওঠেন।
আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার বউবাজার এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি নলচিরা ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। যাত্রাপথে বউবাজার এলাকার কাছে প্রবল স্রোতে পড়ে স্পিডবোটটির তলা ফেটে যায়। এতে ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে।
তাৎক্ষণিক চালক বোটটি তীরের কাছাকাছি নিয়ে যান। পরে যাত্রীরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাঁতরে তীরে ওঠেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়ার নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আশিস চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, স্পিডবোটটির তলার এক পাশে ফেটে যায়। এর ফলে পানি ঢুকে পড়ে এবং ঘাটের কাছাকাছি জায়গায় স্পিডবোটটি ডুবে যায়। পরে স্পিডবোটে থাকা ২৮ জন যাত্রীর সবাই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে
প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।
সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে