নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। স্পিডবোটে থাকা ২৮ জন যাত্রী সবাই অক্ষত অবস্থায় সাঁতরে কূলে ওঠেন।

আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার বউবাজার এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি নলচিরা ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। যাত্রাপথে বউবাজার এলাকার কাছে প্রবল স্রোতে পড়ে স্পিডবোটটির তলা ফেটে যায়। এতে ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে।

তাৎক্ষণিক চালক বোটটি তীরের কাছাকাছি নিয়ে যান। পরে যাত্রীরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাঁতরে তীরে ওঠেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়ার নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আশিস চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, স্পিডবোটটির তলার এক পাশে ফেটে যায়। এর ফলে পানি ঢুকে পড়ে এবং ঘাটের কাছাকাছি জায়গায় স্পিডবোটটি ডুবে যায়। পরে স্পিডবোটে থাকা ২৮ জন যাত্রীর সবাই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে ইসলামী ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ইসলামী ব্যাংকের শাখায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। 

রবিবার দিবাগত (১৬ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে সিংগাইর শহীদ রফিক সড়কের দেওয়ান প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত শাখায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। 

আরো পড়ুন:

‘আমি এতিম হয়ে গেলাম রে’

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু

ব্যাংক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পুরো শাখায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশের লোকজন ধোঁয়া দেখে বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানানোর পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সিংগাইর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিংগাইর শাখার ম্যানেজার রমজান আলী বলেন, “রাতের কোনো এক সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

উপজেলা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মহিবুর রহমান বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার পর দুটি ইউনিট পাঠাই। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়ায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে, তদন্তের পর কারণ জানা যাবে।”

ঢাকা/চন্দন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ