বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অবস্থান
Published: 24th, June 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক তারেক মৃধার (২৫) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক তরুণী (২০)।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে গেলের তার মা ওই তরুণীকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘর তালাবদ্ধ করে অন্যত্র চলে যান। পরে ওই তরুণী ফের তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন।
ইসমাইল তালুকদার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে এইচএসসি পাস করা ওই তরুণী জানিয়েছেন, প্রায় দেড় বছর আগে বৈশাখী মেলায় তারেকের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারেক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে যান এবং রাত্রিযাপন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তারেক তাদের সম্পর্ক অস্বীকার করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
ওই তরুণী জানান, এর আগেও তিনি তারেকের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের বিষয়ে শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, তারেকের পরিবার শালিস মানেনি। আজ আবার তিনি তারেকের বাড়িতে অবস্থান নিলে তারেকের বাবা ফারুক মৃধা বিভিন্ন হুমকি দেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে তারেকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, ফারুক মৃধা দাবি করেছেন, তার ছেলের বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেছেন, ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল