টানা দ্বিতীয় দিন কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন এনবিআর কর্মকর্তা–কর্মচারীরা
Published: 24th, June 2025 GMT
আজ মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সারা দেশের শুল্ক-কর কার্যালয়ে এই কর্মসূচি চলে। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যাপারে এই আন্দোলন চলছে।
দুপুরে আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এ সময় এনবিআরের কর্মকর্তাদের বদলির আদেশ একযোগে ছিঁড়ে ফেলে দেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের নিচতলায় অবস্থান করছেন।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। এনবিআরে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন করছে।
পূর্বঘোষণা অনুসারে, আগামীকাল বুধবার ও পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলমবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি। ২৭ জুনের সব বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলবে।
আজ মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ন কর র কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে হুতিদের হামলা
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ ও বিরসেবায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস কর্মকান্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনগুলো সফলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না করলে এবং অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে হুতি।
তবে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণপ্রত্যাশী। এ সময় ৫১৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অনাহারের কারণে গাজায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২২৭–এ পৌঁছাল, যাদের মধ্যে ১০৩টি শিশু।