নোয়াখালীতে অস্ত্র-গুলিসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
Published: 24th, June 2025 GMT
নোয়াখালীর চাটখিলে অস্ত্র, গুলি ও কার্তুজসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে তাকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৩ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের সাতের দীঘির দক্ষিণ পাড়ের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চাটখিল থানার ওসি মোহাম্মদ ফিরোজ আহমেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার জাহিদুল ইসলাম রুবেল (৩৮) উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং একই এলাকার মৃত হোসেন চৌধুরীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
চাটমোহরে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার ২
ঝিনাইদহে ভ্যানচালককে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
পুলিশ জানায়, গতকাল মধ্যরাতে সাতের দীঘির দক্ষিণ পাড় এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় যুবদল নেতা রুবেলের বাড়ি থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যার সঙ্গে ট্রিগার ও ফায়ারিং পিন সংযুক্ত ছিল। এছাড়া ৩০৩ রাইফেলের সাত রাউন্ড গুলি, সাত রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ (রাবার বুলেট) এবং একটি লোহার তৈরি পুরাতন চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
ওসি মোহাম্মদ ফিরোজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আসামি নিজেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ বের করে দেন। এ ঘটনায় চাটখিল থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আস ম য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
আশুলিয়ায় প্রাইভেটকার ছিনতাই, জিপিএস ট্র্যাকিংয়ে যেভাবে টঙ্গি থেকে উদ্ধার
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার বিকেলে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানা থেকে তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে প্রাইভেটকারে ঢাকায় ফিরছিলেন চালক মনিরুল ইসলাম। বেড়িবাঁধের পঞ্চবটিতে যানবাহনের চাপে ধীরে ধীরে চলছিল গাড়ি। তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। হঠাৎ প্রিমিও ব্রান্ডের প্রাইভেটকারের চালকের আসনের পাশ দিয়ে বাইরে থেকে রড ঢুকিয়ে দেয় এক দুর্বৃত্ত। এর পর গাড়ি সামনের দরজা খুলে আরও দু’জন চালককে মারধর করে বের করে আনেন। গাড়িতে থাকা বাকি তিন আরোহীকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে তারা। এরপর গাড়িটি ছিনতাই করে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার সময় একই সড়কে একই কোম্পানির আরেকটি প্রাইভেটকার অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসছিলেন। সেই গাড়ির চালক রফিকুল ইসলাম ছিনতাইয়ের ঘটনাটি দেখতে পান। তখন নিজের প্রাইভেটকার রেখে দৌড়ে তিনি ছিনতাই হওয়া গাড়ির সামনের বনেটের ওপর লাফিয়ে উঠেন। তখন ছিনতাইকারী জোরে গাড়ি চালানোর পর বনেট থেকে তিনি ছিটকে পড়েন। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান শারমিন গ্রুপের প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের এমন ঘটনাটি ফোনে চালক ও হামলার শিকার অন্যরা জানান অফিসের অন্য কর্মকর্তাদের। এটি জানার পর কামরুজ্জামান ও সাজিদুল ইসলাম সম্রাট নামে দুই কর্মকর্তা গাড়ির জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করেন। তাদের মধ্যে কামরুজ্জামান ছিলেন আশুলিয়ার কর্মস্থলে। আর সম্রাট উত্তরায় তার বাসার কাছাকাছি।
সম্রাট সমকালকে জানান, ট্র্যাকিং সিস্টেমে দেখা যায়–গাড়িটি বেরিবাঁধ উত্তরার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে গাজীপুরের দিকে যাচ্ছিল। এরপর সম্রাট মোটরসাইকেলে গাড়ির পিছু নেন। এক পর্যায়ে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ কল করেন। গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়। এর মধ্যে গ্রামীণ ফোনের সহায়তায় ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয় গাড়ির ইঞ্জিন। তখন প্রাইভেটকারটি ছিল টঙ্গী কলেজ গেটের কাছাকাছি। ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার পর বিপাকে পড়েন ছিনতাইকারীরা। তারা রাস্তায় পাশে গাড়িটি রেখে পালিয়ে যান। এরপর শারমিন গ্রুপের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় গাড়িটি উদ্ধার করে।
শারমিন গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, কোম্পানির কয়েকজন একটি টিম হিসেবে কাজ করে। তারা গাড়ির গতিবিধির ওপর নজর রাখে, পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। গাজীপুরের পুলিশও সহযোগিতা করেছে। উদ্ধারের পর প্রাইভেটকারের মধ্যে চাপাতি, রডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। এর আগে প্রাইভেটকারে আমাদের প্রতিষ্ঠানের যে তিন কর্মকর্তা ছিলেন তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে তুরাগ থানায় জিডি করা হয়েছিল। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার সব ধরনের সহযোগিতা করেন।