আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। ফলে, বাংলাদেশ আইএমএফের কাছ থেকে ১৩০ কোটি ডলার পাচ্ছে। এর আগে তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদর দপ্তরে বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আইএমএফের বোর্ড বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইএমএফ শিগগিরই বিষয়টি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

আরো পড়ুন:

ব্যাংকিং খাত সংস্কারে এডিবির ৬১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন 

খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

মঙ্গলবার এসব অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে বেড়ে যাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন। নতুন ঋণ যোগ হওয়ায় রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াবে ২৮ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে।

এদিকে, আইএমএফ জুনে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভের (এনআইআর) লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। সরকারের অনুরোধে তা কমিয়ে ১৮ বিলিয়নের নিচে নামানো হয়। ঋণ ছাড়ের ফলে বর্তমানে এনআইআর দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, যা সংশোধিত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক।

আইএমএফের শর্ত না মানায় ঋণের অর্থ ছাড়ের বিষয়টি গত ডিসেম্বর থেকে ঝুলে ছিল। দরকষাকষি করছিল বাংলাদেশ ও দাতা সংস্থাটি। এতে কোনো পক্ষই চুক্তি থেকে একেবারে সরে আসেনি। অবশেষে গত মে মাসে সমঝোতা হয়। এর আলোকে ঋণের দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।

বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলার জন্য সহায়তা হিসেবে ২০২২ সালে আইএমএফের কাছে ঋণ চায় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ কঠিন শর্ত আরোপ করে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড় করে দাতা সংস্থা আইএমএফ।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঋণ আইএমএফ র ছ ড় কর র অর থ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ