মিরাজ ফিরলে নাঈম বাদ প্রসঙ্গে যা বললেন কোচ
Published: 24th, June 2025 GMT
কলম্বোয় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন, উইকেট গলের মতোই ভালো মনে হয়েছে। যার অর্থ বাংলাদেশ দল একই পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারে।
ওই পরিকল্পনায় একাদশে থাকতে পারেন দুই পেসার ও দুই স্পিনার। জ্বর কাটিয়ে ক্যাম্পে যোগ দেওয়া মেহেদী মিরাজ ফিরতে যাচ্ছেন একাদশে। সেক্ষেত্রে গলে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে লিড এনে দেওয়া ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান একাদশের বাইরে চলে যেতে যেতে পারেন।
বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে করা প্রশ্নে হেড কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন, দুই স্পিনার নাকি তিন স্পিনার নিয়ে খেলবেন ওই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়ার পরের টেস্টেই নাঈম হাসানকে বাদ দেওয়া হবে কঠিনতম সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত সন্ধ্যার পর হবে, উইকেট দেখার পর। আমরা কেবল স্টেডিয়ামে আসলাম। তিন পেসার নাকি তিন স্পিনার বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উইকেট বুঝতে হবে। নাঈম গলে খুব ভালো করেছে। তাকে বাদ দেওয়া কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। তবে একাদশ কন্ডিশন বিবেচনা করে ও দলের স্বার্থ বিবেচনা করে ঠিক করতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।