সাতছড়ি উদ্যানে কিং কোবরা সাপ অবমুক্ত
Published: 24th, June 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকার বসতঘর থেকে উদ্ধার করে একটি কিং কোবরা (শঙ্খচূড়) সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন এবং সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের উপস্থিতিতে সাপটি অবমুক্ত করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপের মধ্যে কিং কোবরা অন্যতম।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে নবীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজা মিয়ার ঘরে সাপটি দেখে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা সাপটি জীবিত ধরে ফেলেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
কলাপড়ায় ২টি কালনাগিনী সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, এটি স্ত্রী কিং কোবরা। এর বয়স প্রায় ৪ বছর অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক। সাপটি সুস্থ ছিল এবং এটি পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী প্রজাতি। বন ধ্বংসের কারণে এ সব সাপ লোকালয়ে চলে আসছে, যা পরিবেশের জন্য সতর্ক সংকেত।
তিনি আরো জানান, স্ত্রী সাপটি যেহেতু লোকালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, আশপাশেই পুরুষ সাপটি রয়েছে। এ জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।