চট্টগ্রাম নগরে ৩১টি ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার নগর বিএনপির সভাপতি এরশাদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক নাজিমুর রহমানের সই করা এক চিঠিতে এসব কমিটি গঠন ও অনুমোদন দেওয়া হয়।

নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শওকত আজম খাজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম নগরের বাকি ওয়ার্ডগুলো কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলীয় অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অতীত আন্দোলনে ভূমিকা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যাঁরা দুঃসময়ে দলের পাশে থেকেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে সংগঠন পরিচালনায় ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদেরই যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে।

৩১ ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে জালালাবাদ, পাঁচলাইশ, উত্তর চান্দগাঁও, মোহরা, পূর্ব ষোলশহর, পশ্চিম ষোলশহর, শুলকবহর, উত্তর পাহাড়তলী, লালখান বাজার, বাগমনিরাম, চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, দেওয়ান বাজার, এনায়েত বাজার, উত্তর পাঠানটুলি, ষোলশহর, আগ্রাবাদ, পশ্চিম মাদারবাড়ী, পূর্ব মাদারবাড়ী, আলকরণ, আন্দরকিল্লা, ফিরিঙ্গি বাজার, পাথরঘাটা, গোসাইলডাঙ্গা, উত্তর পতেঙ্গা, দক্ষিণ পতেঙ্গা, ৪২ নম্বর কসমোপলিটন, আমিন শিল্পাঞ্চল, বায়েজিদ-নাসিরাবাদ শিল্পাঞ্চল ও দক্ষিণ চান্দগাঁও ওয়ার্ড।

দলের নেতারা জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩১ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নগরের সাংগঠনিক ১৫টি থানা ও ৪৩টি ওয়ার্ড কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করে নগর বিএনপি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নগর র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ