নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (২৫ জুন) ভোরে নীলফামারী রেলস্টেশনের অদূরে পলাশবাড়ি তেঁতুলতলা এলাকায় অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং পারাপারের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত দুইজন পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন। তারা হলেন- জেলা সদরের চওড়াবড়গাছা আরাজি দলুয়া পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের সেন্টু চন্দ্রের ছেলে ভবেশ চন্দ্র রায় (৩০) ও কাণ্ঠু চন্দ্রের ছেলে সন্তোষ রায় (৪৫)।

নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেসটি নীলফামারী রেলস্টেশনে প্রবেশের পূর্বে সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ওই দুই মোটরসাইকেল আরোহী লেভেল ক্রসিং পার হচ্ছিলো। সেসময় ট্রেনের সাথে তাদের মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই ওই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।

এলাকাবাসী জানান, তারা দুইজন পেশায় রাজমিস্ত্রী হলেও কাজ সংকটে তারা পলাশবাড়িতে আমন ধানের চারা রোপনের জন্য কৃষক দুলাল চন্দ্রের জমিতে যাচ্ছিল। দুইজন একটি মোটরসাইকেলে ছিল।

নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিঠুন রায় ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে বলেন, “সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশকে (জিআরপি) বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকা পড়েছিল। পরে সেটি অপসারণ করে ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে চলে যায়।”

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ওসি মাহমুদ উন নবী জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঢাকা/সিথুন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ