ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকায় একটি সাঁজোয়া যান বিস্ফোরণে সাত ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

আইডিএফ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) খান ইউনিস শহরে সেনাদের বহনকারী সাঁজোয়া যানটি বিস্ফোরিত হয় এবং তাতে আগুন ধরে যায়।

নিহত সেনাদের মধ্যে ছয়জনের নাম প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।

আইডিএফ জানায়, হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকটি সাঁজোয়া যানটির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, যা প্রচণ্ড আঘাতে বিস্ফোরিত হয়।

এছাড়া, মঙ্গলবারের আরেক ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাদের ওপর রকেটচালিত গ্রেনেড (আরপিজি) নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুই সেনা আহত হন। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ন হত ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে ইসলামী ব্যাংকে অগ্নিকাণ্ড

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ইসলামী ব্যাংকের শাখায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। 

রবিবার দিবাগত (১৬ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে সিংগাইর শহীদ রফিক সড়কের দেওয়ান প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত শাখায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। 

আরো পড়ুন:

‘আমি এতিম হয়ে গেলাম রে’

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু

ব্যাংক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পুরো শাখায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশের লোকজন ধোঁয়া দেখে বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানানোর পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সিংগাইর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সিংগাইর শাখার ম্যানেজার রমজান আলী বলেন, “রাতের কোনো এক সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”

উপজেলা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ মহিবুর রহমান বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার পর দুটি ইউনিট পাঠাই। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হওয়ায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে, তদন্তের পর কারণ জানা যাবে।”

ঢাকা/চন্দন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ