গাজায় সাঁজোয়া যান বিস্ফোরণে ৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত: আইডিএফ
Published: 25th, June 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকায় একটি সাঁজোয়া যান বিস্ফোরণে সাত ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
আইডিএফ-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) খান ইউনিস শহরে সেনাদের বহনকারী সাঁজোয়া যানটি বিস্ফোরিত হয় এবং তাতে আগুন ধরে যায়।
নিহত সেনাদের মধ্যে ছয়জনের নাম প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এদের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।
আইডিএফ জানায়, হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরকটি সাঁজোয়া যানটির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, যা প্রচণ্ড আঘাতে বিস্ফোরিত হয়।
এছাড়া, মঙ্গলবারের আরেক ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাদের ওপর রকেটচালিত গ্রেনেড (আরপিজি) নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুই সেনা আহত হন। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ন হত ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল