ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় আজ বুধবার রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সকাল পৌনে ৯টা থেকে সোয়া ৯টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রেলওয়ের কর্মচারী (ট্রেনের পিএ অপারেটর) সাইফুল ইসলামকে (২৮) আটক করা হয়েছে।

দুপুরে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার ফরহাত আহমেদ। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ট্রেনের টয়লেটে একজন নারী যাত্রীকে রেলওয়ের পিএ অপারেটর সাইফুল ইসলাম ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি ট্রেনে দায়িত্বরত রেলওয়ে পুলিশকে জানান। পরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সাইফুলকে আটক করেন। বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশনে পৌঁছানোর পর ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তকে নামিয়ে নেওয়া হবে। পরে তাদের ঢাকার কমলাপুরে ফেরত পাঠানো হবে। ঘটনাস্থল যেহেতু কমলাপুর, সেহেতু সেখানেই মামলা করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কমল প র

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জের হাওরে পর্যটকের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে হাওরের পানিতে ডুবে বনান্ত ইসলাম (২২) নামে এক পর্যটক মারা গেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের হাওরে মারা যান তিনি। 

মারা যাওয়া বনান্ত ইসলামের বাড়ি বগুড়ার কান্দারবাজার এলাকায়। তিনি বগুড়ার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিকলী থানার ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, শনিবার সকালে বগুড়া থেকে ৮-৯ জন বন্ধুর সঙ্গে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ দেখতে আসেন বনান্ত ইসলাম। তারা কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে হাওরে বেড়াতে নিকলী যান। বিকেলে নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে ট্রলারযোগে দ্বীপগ্রাম ছাতিরচরের পাশে করচবনে গিয়ে গোসল করতে পানিতে নামেন তারা। এসময় বনান্ত পানিতে তলিয়ে যান। 

আরো পড়ুন:

দিনাজপুরে বিষ খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাজীপুরে পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু

বন্ধুদের চিৎকার শুনে পানিতে নেমে স্থানীয় নৌকার মাঝিরা বনান্তকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। তারা তাকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক বনান্তকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, পুলিশ গিয়ে মরদেহ থানায় আনে। বনান্তরের পরিবারের সদস্যদের জানানোর পর তারা রাতে বগুড়া থেকে আসেন। পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ