কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের সমবায় দিঘি থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

নিহত কিশোরের নাম মোহাম্মদ লাদেন (১৪)। সে উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়িটিক্কাপাড়া এলাকার এজহারুল হকের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, আজ সকাল সাতটার দিকে সমবায় দিঘির মাঝখানে একটি লাশ ভাসতে দেখেন লোকজন। পরে সকাল নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দিঘি থেকে লাশটি উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় লোকজনই কিশোরের পরিচয় শনাক্ত করেন।

কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, কিশোর লাদেনকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বদরখালী বাজারে দেখা গেছে। এর আগে তাকে ইলিশিয়া বাজারেও দেখা গেছে। দিঘিতে কীভাবে তার লাশ পাওয়া গেছে, তাঁরা বলতে পারছেন না।

ঘটনার বিষয়ে লাদেনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। নিহত লাদেন মৃগীরোগী ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন। স্থানীয় একটি মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা থানায় আসছেন। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে নবীনবরণ, র‍্যাগিং ইস্যুতে কঠোর প্রশাসন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার।

তবে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ৪৩ আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

সোমবার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ নিজস্ব আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়। 

আরো পড়ুন:

গকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ-আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ৪৩টি আসন ফাঁকা আছে। এর মধ্যে সাতটি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে আসন ফাঁকা থাকলেও ধর্মতত্ত্ব অনুষদে কোনো আসন ফাঁকা নেই। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম বলেন, “ফাঁকা আসনের বিষয়ে গতকাল (রবিবার) জিএসটি কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি মিটিং হয়েছে। এছাড়া আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়কে র‍্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র‍্যাগিংবিরোধী প্রচার প্রচারণা চালান হয়েছে। নবীনদের র‍্যাগিংয়ে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান।

তিনি বলেন, “আমরা র‍্যাগিং নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তিনদিন ধরে আমরা র‍্যাগিং সচেতনায় মাইকিং করছি। এছাড়া বিভাগগুলোতে কাউন্সিলর নিয়োগ, সচেতনতামূলক আলোচনা সভা এবং পোস্টার লাগানো হবে। কোনো র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ