আমাদের দুইটা বড় শত্রু- দুর্নীতি ও মাদক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 25th, June 2025 GMT
একটি সময় ফেনসিডিল বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হলে খাওয়াতো, এতে সাপের মতো একটা ছবিও থাকতো বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুইটা বড় শত্রু। এক নম্বর দুর্নীতি এবং আরেকটি হলো মাদক। মাদক থেকে কিভাবে আমরা মুক্ত হতে পারি এ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। শুধুমাত্র মাদক নিরাময় কেন্দ্র করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। মাদক যেন বাইরে থেকে ঢুকতে না পারেন। মাদক ঢোকানোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তথ্য আমাদেরকে দেন। মাদকে আমাদের ভাই-বোন-ছেলে-মেয়ে সবাই ইনভলভ হয়ে গেছে। ১ম, ২য় বা ৩য় শ্রেণিতেও মাদক ছেয়ে গেছে। মাদক শক্তির নিরাময়ের খরচ অনেক বেশি। অনেক গরিব মানুষ এটা বহন করতে পারে না। আমি আশা করব, মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যেন কারো ঢুকতে না হয়।’
আজ বুধবার মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস- ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে প্রেস ব্রিফিং এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে পুরোপুরি কমে আসে। যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদককে উচ্ছেদ করতে হবে।
সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলোতে মাদক উৎপাদন হয় এবং সেগুলো একটি চেইনে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিনেও এ সমস্যার সমাধান কেন হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক সময় ফেনসিডিল বাচ্চাদের পেটে ব্যথা হলে খাওয়াতো। সাপের মতো একটা ছবিও থাকতো। আমি অনেক সময় বিজিবি-সেনাদের বলতাম, যদি ফেনসিডিল ১০০-২০০ টাকার বিনিময়ে দাও এগুলো একটা সময় তোমার পরিবারের কেউ খেলে তখন বুঝবা। এটা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না। আমাদের সকলের বুঝতে হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে