৩৯ বছর পেরোনো লুকা মদরিচ রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। ক্লাব বিশ্বকাপ শেষেই রিয়ালকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় বলে দেবেন এই ক্রোয়াট কিংবদন্তি। তবে রিয়াল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও এখনই ইউরোপের শীর্ষ লিগ ছাড়া হচ্ছে না ব্যালন ডি’অরজয়ী এই মিডফিল্ডারের।

জানা গেছে, আগামী মৌসুমে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে দেখা যাবে তাঁকে। মদরিচের এসি মিলানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর ইগলি তারা। এমনকি মদরিচের সঙ্গে তাঁর কথা হওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন ইগলি।

গত ২২ মে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ঘোষণা দেন মদরিচ। বিদায়বার্তায় তিনি লেখেন, ‘সময়টা এসে গেছে। সেই মুহূর্ত, যেটা আমি কখনোই আসতে দিতে চাইনি। তবে ফুটবল আর জীবনে সবকিছুর শুরু আছে, শেষও আছে। শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আমি আমার শেষ ম্যাচটি খেলব।’

আরও পড়ুনরিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মদরিচ২২ মে ২০২৫

সে সময় ক্লাব বিশ্বকাপের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াল ছাড়ার কথাও জানান তিনি। রিয়ালের জার্সিতে ৫৯০ ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডার ১৩ বছরে ক্লাবটির হয়ে ৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ৪টি লা লিগাসহ মোট জিতেছেন ২৮টি ট্রফি।

হচ্ছে না মেসি–মদরিচ জুট.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মদর চ

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দাবি রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের

প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল এবং বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এগ্রোনমি ও এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ, মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আরো পড়ুন:

রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাকসু ফান্ডে জমা ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, হল সংসদের ফান্ড অস্পষ্ট

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে এবং দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম-খুন ও নির্যাতনের অবসান হয়। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের প্রত্যাশা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অবসান এবং গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই প্রত্যাশা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতাও প্রায় একই রকম। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, আবাসন, যাতায়াত, পেশাগত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। এসব জরুরি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার ঘোষিত সুবিধা বহাল রয়েছে। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তা কার্যকর হয়নি।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বাইরে কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নয়। তাই এখানেও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য একই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

অফিসার সমিতি সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, “পোষ্য কোটা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা এক নয়। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাই, কোটা নয়। আমাদের সন্তানরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই এখানে ভর্তি হোক এটা চাই।”

রাবি/ফাহিম/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ