অতীতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছে, এটা কারো কাম‍্য নয় বলো জানিয়েছেন স্কয়ার ফার্মার ব‍্যবস্থাপনা পলিচালক ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ কোম্পানির চেয়ারম্যান (সিডিবিএল) তপন চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, আর টাকার দরকার না হলে কেন কোম্পানি শেয়ারবাজার আসবে? সেই কারণে স্কয়ারের নতুন কোনো কোম্পানি বাজারে আসছে না।

বুধবার (২৫ জুন) ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ক‍্যাপিটাল মার্কেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড.

আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, আইসিবি চেয়ারম্যান অধ‍্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আক্তার উপস্থিত ছিলেন। 

তপন চৌধুরী বলেন, ‘‘অনেক বিনিয়োগকারী কোম্পানির ব‍্যালেন্স শিট বুঝতে পারেন না। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। শেয়ারবাজারে আসার সময় যারা আমাদের স্কয়ার ফার্মার শেয়ার কিনেছিলেন, তাদেরকে স‍্যামসন এইচ চৌধুরী স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ার বিনামূল‍্যে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ কাজে সরকার বাধা দেয়। এরপর স‍্যামসন চ‍ৌধুরী উচ্চ আদালতে মামলা করে সেই শেয়ার বিতরণ করেন।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ৯০ কোটি টাকার কোম্পানি ছিল। কিন্তু এখন শুধু স্কয়ার ফার্মার মার্কেট ক‍্যাপ ১৮ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের অবদান অনেক। এ কারণে আমার বাবা স‍্যামসন চৌধুরী বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখার কথা বলে গেছেন।’’

ঢাকা/এনটি//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য় রব জ র স কয় র

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি, ইরান থেকে ফিরতে আগ্রহ কমছে বাংলাদেশিদের

টানা ১২ দিন পাল্টাপাল্টি হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ। যুদ্ধাবস্থায় যেসব বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসতে চেয়েছিলেন, তারা এখন মত পাল্টেছেন। আগ্রহীদের অনেকে এখন আর ফেরত আসতে চাইছেন না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ফেরত আসতে আড়াইশ জন নিবন্ধন করেছিলেন। পাকিস্তান হয়ে ফেরত আনতে প্রায় ৯০ জনের তালিকা ইসলাবাদকে দেওয়া হয়। এর মধ্যে গতকাল বুধবার পর্যন্ত প্রথমে ৪০ জন ফেরত আসতে রাজি হন। শেষ মুহূর্তে সেই সংখ্যা ৩০ জনে নেমে আসে। পরিস্থিতি বুঝে বাকিরা থেকে যেতে চাইছেন। বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছে। আর ফেরত আসতে আগ্রহীদের জন্য সুযোগ খোলা রাখছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি প্রথম দলকে তেহরান থেকে সড়ক পথে পাকিস্তান নেওয়া হবে। এরপর তাদের ফ্লাইটে করাচি থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে প্রায় ৯০ জনকে পাকিস্তান স্থল সীমান্ত দিয়ে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইরান থেকে পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ সহজ করতে এদের তথ্য ইসলামাবাদের কাছে দিয়েছে ঢাকা। এরই মধ্যে ৩০ জনের একটি দল তেহরান থেকে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের তাফতান সীমান্তের দিকে রওনা দিয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে দলটি পাকিস্তান পৌঁছবে। এ দলটি বাংলাদেশে ফেরত আসছে।

ইরানে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এর মধ্যে তেহরানে রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। দেশটিতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৭২ জন। দেশে ফিরতে আগ্রহীদে নাম-ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধনের আহ্বান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যে কোনো তথ্য ও সহায়তার জন্য হটলাইন নম্বরগুলোয় যোগাযোগ করতে বলা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ