জুলাই সনদে কী থাকছে, কী থাকা উচিত
Published: 26th, June 2025 GMT
জুলাই ঘোষণাপত্র বা সনদ ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। বিশেষ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, তার পটভূমিতে এই সনদের গুরুত্ব ধীরে ধীরে কিছুটা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। তবে সনদে শেষ পর্যন্ত কী কী থাকবে, এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে আমাদের হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে।
৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই মাসেই একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করে জাতির সামনে উপস্থাপনের আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
তাঁর বর্ণনায়, ‘এই জুলাই সনদ হলো একটি প্রতিশ্রুতি। একটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক দলগুলো যে কটিতে একমত হয়েছে, তার তালিকা থাকবে এই সনদে। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে তারা জাতির কাছে সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে।’
আমরা জানি, গণ-অভ্যুত্থানপ্রসূত অন্তর্বর্তী সরকার সম্ভাব্য সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ১১টি বিষয়ে কমিশন গঠন করেছিল, প্রথমে ছয়টি এবং পরে আরও পাঁচটি। দুই দফায় গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশমালা জমাও পড়েছে দুটি আলাদা সময়ে। প্রথম পর্যায়ের ছয়টি কমিশনের সুপারিশমালা নিয়ে তাই তখনই জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের সুপারিশগুলোর কোনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো সবাই একমত কিংবা ভিন্নমত থাকলে তা কোথায় এবং আলোচনার মাধ্যমে মতভেদ দূর করার চেষ্টা যে এখন চলছে, তা আমরা সবাই টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের কল্যাণে প্রত্যক্ষ করছি।
যে ছয়টি কমিশনের সুপারিশমালা নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে, সেগুলো হচ্ছে সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন। অন্য যে পাঁচটি কমিশন কাজ করেছে, সেগুলো হচ্ছে গণমাধ্যম, শ্রম খাত, নারী, স্বাস্থ্য খাত ও স্থানীয় সরকার সংস্কারবিষয়ক। দ্বিতীয় দফায় গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ সম্পর্কে ঐকমত্য কমিশনকে কোনো দায়িত্ব না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, এসব বিষয়ের সংস্কারে কি ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই? নাকি ঐকমত্য ছিল এবং আছে, এখন তা শুধু বাস্তবায়নের অপেক্ষা?
ঐকমত্য কমিশন গঠনের দুই থেকে চার মাস পর অন্য কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমা হওয়ায় কিছু সংস্কারের প্রস্তাব প্রাসঙ্গিক হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো ঐকমত্য কমিশনের বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়নি বা তাদের নজরে আনা হয়নি। এখানে সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে গণমাধ্যম কমিশনের একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের কথা বলা যায়।
সংবিধানের ৩৯(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত–অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে ক.
গণমাধ্যম কমিশন সুপারিশ করেছে, বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে যুক্তিসংগত বিধিনিষেধের বিষয়টি শুধু যুদ্ধাবস্থায় কার্যকর হবে।
আরও পড়ুননির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে এখনই যা করা দরকার১৯ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় সংবাদমাধ্যমের জন্য এই অব্যাহতির বিষয়টি যেহেতু আসেনি, তাই ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায়ও এর স্থান নেই। একইভাবে গণমাধ্যম কমিশন সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের মতো সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সূত্রের গোপনীয়তা রক্ষা এবং সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন না করার অধিকার নিশ্চিত করার বিধান সংবিধানে যুক্ত করার যে প্রস্তাব করেছে, তা আলোচনায় আসছে না। কিন্তু দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের নিজস্ব প্রকাশনায় সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষায় সুইডেনের মতো বিধান করার অঙ্গীকার করেছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আদালতের সমালোচনা করার অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আদালতের সমালোচনা এবং আদালত অবমাননার আইনগত সংজ্ঞায়ন স্পষ্ট করা না হলে তা যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় কত বড় বাধা হয়ে রয়েছে, তা এই পেশায় নিয়োজিতদের চেয়ে কেউ ভালো জানে না। কমিশন তাই আদালত অবমাননার স্পষ্ট সংজ্ঞায়ন চেয়েছে এবং তা বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ে আলোচিত হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের তৈরি করা বিচার বিভাগ সংস্কারের সারসংক্ষেপে বিষয়টির কোনো উল্লেখ না থাকা হতাশারই বলতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে, তার তালিকা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেই পাঠানো হয়েছে। সবার জন্য তা কেন উন্মুক্ত করা হয়নি, তা বোধগম্য নয়।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার তালিকায় অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩ সংশোধনের কথাও আছে এবং প্রস্তাবটি এসেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের তালিকা থেকে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা যায়, উন্মুক্ত তথ্যনীতির অংশ হিসেবে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টকে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে যুগোপযোগী করার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংশোধন কী বা একাধিক সংশোধনী প্রয়োজন কি না, তার উল্লেখ নেই। বিষয়টি গণমাধ্যমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সে কারণে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন বলেছে, এ আইনের ৫ ধারা সংশোধন করে কেবল জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া উচিত এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য জনস্বার্থের প্রশ্নে আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা সংযোজন করা উচিত।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ‘মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা’ অংশে সুপারিশ আছে ৪০টি, যেগুলো ঐকমত্য কমিশন সারসংক্ষেপ আকারে মোটাদাগে পাঁচটিতে এনে দলগুলোর কাছে তুলে ধরেছে। তাদের মূল সুপারিশে আছে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতায় কোনো ধরনের সীমা আরোপ করা যাবে না, কিন্তু সারসংক্ষেপে তার উল্লেখ নেই। ঐকমত্যের আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মূল সুপারিশগুলো আত্মস্থ না করে থাকলে সারসংক্ষেপ ধরে মতামত দিলে সমঝোতায় ঘাটতি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাতীয় ঐকমত্য যে অনেক দিন ধরেই রয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। যেমন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্প্রচারমাধ্যম—বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্ন। ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে তিন জোটের যে যৌথ ঘোষণা ছিল, তাতে এগুলোর স্বায়ত্তশাসনের অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু কেউ তা বাস্তবায়ন করেনি। এরপর যতবারই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন হয়েছে, প্রতিবারেই এই স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলা হয়েছে।
কিন্তু এসব কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে এমন বিষয়ও আছে, যেগুলো সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর সবার অবস্থান স্পষ্ট নয়, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৈপরীত্যপূর্ণ। কিছু সংস্কারের প্রস্তাব অপরিসীম গুরুত্বের দাবি রাখে, কিন্তু তার বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ, তাই সেগুলোর জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
ন্যূনতম জাতীয় মজুরি কিংবা কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকলে শ্রম খাতের সংকট দূর হবে কীভাবে? নতুন বন্দোবস্তের বাংলাদেশে এসব বিষয়ে শ্রমিকেরা কার কাছে তাঁদের হিস্যা চাইবেন? তাঁরা কাউকে কি প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন?
জুলাই সনদের যে আলোচনা, তার মূলে আছে বিদ্যমান রাজনৈতিক ক্ষমতাকাঠামো এবং পদ্ধতিগুলোর মধ্যে যেগুলো অগণতান্ত্রিক এবং স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুযোগ তৈরি করে দেয়, সেগুলো বদলে দিয়ে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা।
আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, সংসদ, বিচারব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও স্বৈরতন্ত্রের সহায়ক হাতিয়ার করে ফেলা হয়েছিল কিংবা তাদের অনেকে উৎসাহী সহযোগী হয়ে উঠেছিল। এ ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না হলে তা জনস্বার্থের বদলে ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক স্বার্থকেই রক্ষা করে চলবে। গণতন্ত্রকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করে তোলায় মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে শুধু রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমের স্বায়ত্তশাসন যথেষ্ট নয়। ব্যক্তি খাতে গণমাধ্যমে কালোটাকার দৌরাত্ম্য, প্রভাবক ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং নৈতিক মানের অনুপস্থিতির মতো বিষয়গুলোতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ প্রয়োজন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে, তার তালিকা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেই পাঠানো হয়েছে। সবার জন্য তা কেন উন্মুক্ত করা হয়নি, তা বোধগম্য নয়। এই তালিকায় নেই, কিন্তু যেসব বিষয়ে পরিবর্তন না আনলে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ তো দূরের কথা; গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনও সম্ভব নয়, গণমাধ্যমের সংস্কার সে রকম একটি বিষয়। গণমাধ্যম কীভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে, তার বিশদ আলোচনা গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে রয়েছে।
গণমাধ্যম সংস্কারের বিষয়টিকে তাই অগ্রাধিকার তালিকায় পেছনে ফেলে রাখা ভুল হবে। অন্তত যেসব সংস্কার জরুরি কিন্তু সময়সাপেক্ষ হতে পারে, সেগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সুস্পষ্ট অঙ্গীকার প্রয়োজন। প্রশ্ন হচ্ছে জুলাই সনদে তার স্থান হবে কি?
কামাল আহমেদ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান
* মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স স ক র প রস র প রস ত ব স রস ক ষ প র স ব ধ নত জ ল ই সনদ ব যবস থ প রক শ র জন য ব ষয়ট সমঝ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশন বলছে, শরিয়াহ নিয়ে প্রশ্ন ছিল না, মামুনুল হক বললেন অসতর্কতায় অন্য জরিপের কথা বলেছেন
প্রথম আলোয় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে শরিয়াহ আইন নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকের একটি মন্তব্য নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত সোমবার মামুনুল হকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
‘আফগানিস্তানে যেতে আইনি বাধা নেই’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারের একটি অংশে মামুনুল হক উল্লেখ করেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয়ে জরিপ চালানো হয়েছিল। সেখানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শরিয়াহ শাসন চেয়েছে।’
এ বিষয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশন বলেছে, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে কমিশনের পক্ষ থেকে যে জরিপ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল, সেখানে শরিয়াহ আইন বা শরিয়াহ শাসনসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নই অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ফলে উক্ত জরিপ থেকে এ ধরনের মতামত বা ফলাফল পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
অন্যদিকে এ বিষয়ে মামুনুল হক প্রথম আলোকে বলেছেন, ২০১৭ সালে ‘রিজলভ নেটওয়ার্ক’ পরিচালিত একটি জরিপকে তিনি অসতর্কতাবশত ঐকমত্য কমিশনের জরিপ বলে উল্লেখ করেছেন। ‘ডেমোক্রেসি অ্যান্ড শরিয়াহ ইন বাংলাদেশ: সার্ভেয়িং সাপোর্ট’ শীর্ষক ওই জরিপ প্রতিবেদন লিখেছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সৈয়দা সেলিনা আজিজ। ওই জরিপে ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের একটি মর্মবস্তু হচ্ছে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব। তবে ৮০ শতাংশের বেশি মনে করেন, শরিয়াহ আইন মৌলিক সেবা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুর্নীতিকে নিরুৎসাহিত করে।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে তিনটি বিষয় নজর কেড়েছে, নারী শিক্ষার বিষয় আপত্তিকর ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫