কেবল ব্যক্তির বদল নয়, পুলিশের সংস্কারও প্রয়োজন: সামান্তা শারমিন
Published: 26th, June 2025 GMT
কেবল ব্যক্তির বদল নয়, বরং পুরো পুলিশ প্রশাসনের প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। গুম–খুন–নির্যাতনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে পুলিশ বাহিনী। শুধুমাত্র একজন মানুষ পরিবর্তন করলেই যে এটা সংস্কার, তা আমরা কেউ বিশ্বাস করি না। এরকম কত মানুষ পরিবর্তন হলো! আওয়ামী লীগ তো কম পরিবর্তন করেনি। এভাবে পরিবর্তন হবে না। নীতিমালা ও আইনে পরিবর্তন আনতে হবে।
আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘নির্যাতন থেকে প্রতিরোধ: স্মৃতি, ন্যায়বিচার ও প্রতিবাদের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনসিপির মানবাধিকারবিষয়ক সেলের আয়োজন করে।
সামান্তা শারমিন বলেন, একজন মানুষ গুম–খুনের শিকার হলে তার পরিবারও অসহায় হয়ে পড়ে। এসব পরিবারের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের আমলে নির্যাতনের শিকার হওয়া সবাইকে স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, কেউ কি বলতে পারবেন যে, পুলিশ সংস্কার নিয়ে আমাদের শেষ আলাপটা কবে দেখেছেন? সর্বশেষ কোন রাজনৈতিক দল পুলিশ সংস্কার কমিশন নিয়ে আলাপ করেছেন? কিন্তু পুলিশ সংস্কার যদি না হয়, তাহলে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা পুলিশকে রাজনৈতিকভাবেই ব্যবহার করবে। এটা বাংলাদেশের বাস্তবতা। এ সময় তিনি গুম, খুন এবং নির্যাতন প্রতিরোধে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক চুক্তির আহ্বান জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার পিএইচডি গবেষক খন্দকার আবদুর রকিব, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসাইন ও এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প জ ত য় ন গর ক প র ট র জন ত ক এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
‘আল্লাহু আকবার’ বলে হলের ছাদ থেকে লাফ দিলেন রাবি শিক্ষার্থী
‘আল্লাহু আকবার’ বলে হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন সাদ আহমেদ নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১১টা ২০ মিনিটে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের চার তলার উপর থেকে লাফ দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
সাদ আহমেদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার আগে ফেসবুকে তিনি কয়েকটি পোস্ট করেন। সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ভালোবাসি লিসা'।
লিসাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, “লিসা তুমি জানতা তোমাকে আমি কত্তটা ভালোবাসি, তবুও কেন এমন করলে? সব জায়গায় সেইম ইফোর্ট সেইম ডায়ালগ কীভাবে পারো লিসা? মানুষ এতটা সাইকো কীভাবে হয়? তোমাকে তো বলেই ছিলাম, আমার সাথে চিট করলে কিন্তু আমার বন্ধু ফিরোজের মতো আমাকেও মরা ছাড়া উপায় থাকবে না। এত্ত করে বুঝাইলাম তাও বুঝলে না।”
আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, “সরি আম্মু পারলে মাফ করে দিও। তুমি আমার আম্মু ছিলা, তুমি আমার আব্বু ছিলা। আর আমার বাপ একটা জানোয়ার।”
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি মাত্রই ছাদে উঠেছিলাম, তিন তলায় ওঠার পরে একজন জোরে 'আল্লাহু আকবার' বলে এবং পরক্ষণেই হঠাৎ জোরে শব্দ শুনতে পাই। তারপর ওখান থেকে দৌঁড়ে এসে দেখি একজন মাটিতে পড়ে আছে। পরে অ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে রামেকে নিয়ে যায়।
তার এক বন্ধু বলেন, সাদ খুব সহজ সরল। সে হাফেজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। পারিবারিক কিছু সমস্যাও ছিলো। তবে এভাবে সে লাফ দেবে এটা ভাবতেই পারিনি।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমি বাইরে ছিলাম। ঘটনাটি শোনার পর হলে গিয়ে শুনতে পেলাম তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সে ফার্স্ট ব্লকের চার তলা থেকে লাফ দিয়েছিল। সম্ভবত তার একটা পা ভেঙ্গে গেছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমরা ঘটনাটি শোনামাত্রই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাইছি। তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।”
ঢাকা/ফাহিম/ইভা