বাগেরহাটের মোল্লাহাটে চারটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ ১১ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মোল্লাহাট টোল প্লাজার সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাস তল্লাশি করে এদের আটক করা হয়। ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৬৭৭০ নম্বরের আটক মাইক্রোবাসটি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার থেকে খুলনার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় চারটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন ও নয় রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়।

আটককৃতরা হলেন- কাউসার আলী (৪৩), মেহেদী হাসান (২৩), আতাউর রহমান (৩০), খোকন বিশ্বাস (৪৫), খোকন মিয়া (৩৫), আবুল হোসেন (৪৩), ইমদাদুল হক (৩১), জনি মিয়া (২৭), সেলিম শাহ (৩৪), মাসুম পারভেজ (২২) ও প্রসেনজিৎ চন্দ্র দাশ (৩৫)। আটককৃতদের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার। আটককৃতরা বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ১১ দুস্কৃতিকারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, এসব দুস্কৃতকারীরা ঝিনাইদহ থেকে আসছিল। তাদের কাছে অস্ত্র ও গুলি ছিল। তাদের বড় ধরনের কোনো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক ব গ রহ ট ব গ রহ ট

এছাড়াও পড়ুন:

গজারিয়ায় জনতার হাতে আটক ৩, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২১ রাউন্ড কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে আবু হানিফ (৪২), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের জসীম ব্যাপারীর ছেলে রাসেল (২৫) এবং গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের মুজাফফর ব্যাপারীর ছেলে লোকমান (৩০)।

আরো পড়ুন:

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি এলাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। গত রাত আড়াইটার দিকে ১০-১২ জন লোকের উপস্থিতি টের পায় পাহারাদার দল। এ সময় তাদের ধাওয়া দেওয়া হলে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে আটক হন তিনজন। পরে আটককৃতদের কাছ থেকে ২১টি কার্তুজ, ৩টি রামদা, ২০টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়। গণপিটুনি দিয়ে তাদের আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূরে আলম জিকু বলেন, ‘‘আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে, কারো আঘাতই গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।’’

গজারিয়া থানার ওসি মো. হাসান আলী বলেন, ‘‘জনতার হাতে আটক তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গজারিয়ায় জনতার হাতে আটক ৩, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার