এখন স্বজনদের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাচ্ছে। দূরের মানুষ তো অন্য কথা। বাবা কর্তৃক মেয়ে, চাচা কর্তৃক ভাতিজি, একের পর এক পাশবিকতার শিকার হচ্ছে শিশু ও নারীরা।

সিলেটের বিমানবন্দর এলাকায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তার ফুফাকে গ্রেপ্তারের পর এমন মন্তব্য করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী আমির আলী। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আব্দুল হালিম বিমানবন্দর এলাকার দরগাবাড়ি রামপুরের আব্দুল হেকিমের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে ঘটনা ঘটলেও গত বুধবার থানায় অভিযোগ করেন মেয়ের বাবা। মামলার পর সন্ধ্যায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান সমকালকে জানিয়েছেন, স্ত্রীর আপন বড় ভাইয়ের মেয়ে, ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠে আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দরগাবাড়ি রামপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম নির্যাতনের শিকার স্কুল ছাত্রীর ফুফা। আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় হালিমের আসা-যাওয়া ছিল মেয়েটির। নানা কৌশলে আব্দুল হালিম তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ওই স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। প্রথমে বিষয়টি পরিবারের কেউ জানতে পারেনি। মেয়েটির শরীরে পরিবর্তন আসলে পরিবারের সদস্যদের নজরে আসে। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ার পর পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে মেয়েটি তার ছোট ফুফুর জামাই আব্দুল হালিমের নাম বলে। ঘটনাটি জানাজানি হলে হালিমের পরিবার ধামাচাপার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠে। বুধবার মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলার পরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দাবি রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের

প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল এবং বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এগ্রোনমি ও এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ, মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আরো পড়ুন:

রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

রাকসু ফান্ডে জমা ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, হল সংসদের ফান্ড অস্পষ্ট

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে এবং দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম-খুন ও নির্যাতনের অবসান হয়। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের প্রত্যাশা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অবসান এবং গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই প্রত্যাশা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতাও প্রায় একই রকম। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, আবাসন, যাতায়াত, পেশাগত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। এসব জরুরি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার ঘোষিত সুবিধা বহাল রয়েছে। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তা কার্যকর হয়নি।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বাইরে কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নয়। তাই এখানেও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য একই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

অফিসার সমিতি সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, “পোষ্য কোটা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা এক নয়। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাই, কোটা নয়। আমাদের সন্তানরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই এখানে ভর্তি হোক এটা চাই।”

রাবি/ফাহিম/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ