চট্টগ্রামে ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া রিভলভারসহ ছিনতাইকারী গ্রেপ
Published: 27th, June 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগরে পাহাড়তলী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে থানা ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া রিভলভারসহ একাধিক মামলার আসামি ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে পাহাড়তলীর সিডিএ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম মো. মিনহাজ উদ্দিন ওরফে নুরুন্নবী সাগর (২৩)।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ জানান, সিডিএ মার্কেটের চেকপোস্টে পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করে সাগর। এ সময় তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের পরিচয় প্রকাশ করে এবং জানায়, তার কাছে একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।
পরে সাগরের দেওয়া তথ্যে সাগরকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উত্তর পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে অব্যবহৃত একটি যাত্রী ছাউনির পাশে ময়লার স্তূপে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় একটি বিদেশি রিভলবার ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া রিভলবারটি পূর্বে থানায় সংরক্ষিত একটি অস্ত্র, যা গত বছরের ৫ আগস্ট থানা লুটের ঘটনায় লুট করা হয়।
বাবুল আজাদ বলেন, “সাগর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, লুটপাটকারীদের কাছ থেকে তিনি অস্ত্রটি সংগ্রহ করেন। এরপর এটি তিনি বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহার করেছেন।’’
নুরুন্নবী সাগরের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী, আকবরশাহ, ডবলমুরিংসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে নতুন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চট্টগ্রামে সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাদা পাথর লুট: সিলেটে বিএনপি সভাপতির পদ স্থগিত
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের পদ স্থগিত করেছে দলটি।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে সাহাব উদ্দিনের সব দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর স্থলে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দেশের সবচেয়ে বড় পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জ কোয়ারির পাশে সরকারের অন্তত ২৭৫ একর উন্মুক্ত জায়গা আছে। ২০০১ সালের দিকে এসব জায়গার দখল নেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন। এর মধ্যে সাহাব উদ্দিনের দখলে চলে যায় অর্ধেকের বেশি জমি। পাশে কোয়ারি থাকায় দখলকারীরা জায়গাগুলো পাথর ভাঙার মেশিনের মালিকদের কাছে ভাড়া দেন।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলেও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মিলেমিশে সরকারি জায়গা দখল করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছিলেন তিনি। বিগত সরকারের শেষের দিকে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে ১০ নম্বর সাইট এলাকায় সরকারি প্রায় ১৫০ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তিনি ৫ আগস্টের পর পুনরায় সরকারি ঐ ভূমি দখলে নেন। সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর টনক নড়ে দলের।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সাহাব উদ্দিনকেও এ ঘটনায় লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।”
এ ব্যাপারে জানতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/নূর/এস