ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গতকাল শনিবারের সমাবেশ থেকে জানানো মূল দাবিগুলো সংস্কারবিষয়ক। সঙ্গে ছিল স্থানীয় নির্বাচন আগে দেওয়ার দাবিও। মূলত সংস্কার প্রস্তাবের যে বিষয়গুলো নিয়ে কমিশনের বৈঠকে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো আলোচনার টেবিল থেকে মাঠে নিয়ে এলো দলটি। 

এই আওয়াজে তাদের সঙ্গে গলা মেলাতে হাজির ছিল জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, নেজা‌মে ইসলাম পা‌র্টি, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলা‌দেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলনসহ ১১টি দল। এ দলগুলো সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যানুপা‌তিক নির্বাচন চায়। বিএনপি এর বিপক্ষে। ফলে গতকালের সমাবেশে তারা দাওয়াত পায়নি।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিয়েছে জাতীয় হিন্দু মহা‌জো‌ট ও বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনও। তাদের উপস্থিতি মূলত সম্প্রীতির নিদর্শন। সমাবেশ থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। জামায়াত আগে থেকে এ দাবি করে আসছে।  

বিএনপির দিক থেকে দ্রুতই প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যারা পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিতে নির্বাচন চান, তাদের উদ্দেশ্য আছে। নির্বাচন বিলম্ব অথবা বানচাল করতে চায় তারা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথাগুলো বলেন তিনি। 

বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এখন উপযুক্ত সময় নয়। তাঁর আশা, সরকার দ্রুত সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাবে।

সাংবিধানিক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে নিজেদের অবস্থানের পক্ষে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তিন দিনের বিরতির পর আজ রোববার আবার শুরু হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ। গতকাল সমাবেশে উপস্থিত দলগুলো সংলাপে ঐকমত্য না হলে গণভোট চায় বলে জানিয়েছে। ১৯ জুলাই সমাবেশ করবে জামায়াত।

জামায়াতের সমাবেশেও আমন্ত্রণ করা হবে সংস্কারে বিএনপির বিপরীতে অবস্থান নেওয়া দলগুলোকে। এর মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের জন্য বিএনপির বাইরে বৃহত্তর সমঝোতা গড়ার চেষ্টা চলছে। গতকালের সমাবেশের জনসমাগমকে সেই প্রক্রিয়ার প্রতি জনসমর্থন প্রকাশের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। জামায়াতের সমাবেশেও নেতাকর্মীদের বিপুল উপস্থিতির চেষ্টা থাকবে। সংস্কারের আলোচনায় বড় দল বিএনপির বিপরীতে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে অপেক্ষাকৃত ছোট এই দলগুলো নিজেদের জনসমর্থনকে নজরে আনতে চায়। তবে একে চাপ হিসেবে বিবেচনা করবে কিনা, বিএনপির আগামীর পদক্ষেপে তা বোঝা যাবে।             

প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ, সংসদের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন পদ্ধতি, সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে সরকারপ্রধানের ক্ষমতা কমানো ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে এই দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির মতপার্থক্য রয়েছে। উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ এবং ক্ষমতা খর্বের পক্ষে থাকা জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের একই অভিমত। 

বিএনপি শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ ১০ বছর সীমাবদ্ধে রাজি হয়েছে। গত বুধবার সংলাপের পঞ্চম দিনে দলটি জানিয়েছে, যদি সাংবিধানিক নিয়োগে নির্বাহী বিভাগ তথা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব না হয়, তবে মেয়াদ নির্ধারণে রাজি বিএনপি।

জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ ২৩টি দলের অবস্থান হলো– স্বৈরাচার হওয়ার পথ বন্ধে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা কমাতে হবে এবং মেয়াদও নির্দিষ্ট করতে হবে। বিএনপির যুক্তি, সরকারপ্রধানের ক্ষমতা এভাবে কমালে রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব হবে না। তবে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণঅধিকার, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা এবং মেয়াদ সীমাবদ্ধ করার পক্ষে।

বিএনপির আপত্তিতে গত বুধবার ঐকমত্য কমিশন এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব করে। প্রধানমন্ত্রী, সংসদের উভয় কক্ষের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল বাদে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা অন্য দল থেকে একজন এমপি, রাষ্ট্রপতির একজন প্রতিনিধি এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটি ইসি, দুদক, মানবাধিকার কমিশন এবং প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার কমিশনে নিয়োগ দেবে।

বিএনপি কমিটি গঠনেও রাজি নয়। ১২ দলীয় জোট, ১১ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ববি হাজ্জাজের এনডিএম, মোস্তাফিজুর রহমানের লেবার পার্টিরও একই অবস্থান। তাদের অবস্থান, এতেও সরকারের ক্ষমতা কমে যাবে।

সংলাপে জামায়াতকে প্রতিনিধিত্ব করা দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড.

হামিদুর রহমান আযাদ সমকালকে বলেছেন, অধিকাংশ দল প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে একমত হলেও দুয়েকটি দলের বিরোধিতায় ঐকমত্য হচ্ছে না। এভাবে চললে কখনোই ঐকমত্য হবে না। তাই রাজপথে জনগণের কাছে সংস্কারের দাবি নিয়ে যাওয়া ছাড়া পথ থাকছে না।

জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন সংসদের নিম্নকক্ষেও ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন তথা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। তবে দুটি দলের সূত্রই বলেছে, বিএনপি উচ্চকক্ষে আনুপাতিক নির্বাচন মেনে নিলে তারা নিম্নকক্ষে বিদ্যমান পদ্ধতির নির্বাচন মেনে নেবে। এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সমকালকে বলেছেন, উচ্চকক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন হতেই হবে। এ বিষয়ে ছাড় দিয়ে সংস্কার হবে না। 

বিএনপি বলছে, আনুপাতিক উচ্চকক্ষ হলে নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তথা সরকারি দল আইন প্রণয়নে বাধাগ্রস্ত হবে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ঐকমত্য কমিশনকে হুঁশিয়ার করে নুরুল হক নুর গতকাল সমাবেশে বলেছেন, ‘দুয়েকটি দলের কথায় জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার দুঃসাহস দেখাবেন না।’ রাজপথে কর্মসূচি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সমাবেশ কিন্তু সবে শুরু করেছে। জামায়াত, গণঅধিকারও করবে।’

ছয় দিনের সংলাপে শুধু ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিলে শর্তসাপেক্ষে ঐকমত্য হয়েছে। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ঐকমত্য না হলে আবার রাজপথে যাবে রাজনীতি, আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে। এর ফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ গণঅধ ক র র প রস ত প রস ত ব র ক ষমত অবস থ ন ব এনপ র ঐকমত য বল ছ ন দলগ ল ইসল ম সরক র গতক ল এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি

ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ অনুমোদন দেওয়ার সময় আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিবিধি সম্পর্কে যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তা উদ্বেগজনকই। তারা মনে করে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ চার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো খারাপ অবস্থায় আছে। অন্য তিনটি কারণ হলো কঠোর আর্থিক ও রাজস্ব নীতির প্রভাব, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা বৃদ্ধি এবং ব্যাংক খাতে অব্যাহত চাপ।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা স্বীকার করে বলেছেন, বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটেনি। প্রশ্ন হলো গত ১০ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার এই স্থবিরতা কাটাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না। আইএমএফ বলছে, চলতি অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। সংস্থাটির মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। মূল্যস্ফীতিই জনজীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলছে, সেটা জানা গেল বিশ্বব্যাংকের আরেক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, জাতীয় দারিদ্র্যের হার ২০২৫ সালে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ হবে। ২০২২ সালে তা ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা, যঁাদের দৈনিক আয় ২ ডলার ১৫ সেন্টের নিচে ছিল, তঁাদের সংখ্যা ৩০ লাখ হতে পারে। দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব। যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে, সে হারে মানুষের আয় বাড়েনি। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা দিয়ে দরিদ্র মানুষ চিহ্নিত করা হয়। ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) অনুসারে, দিনে ২ দশমিক ১৫ ডলার আয় করে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা কেনার সামর্থ্য না থাকলে অতিদরিদ্র হিসেবে ধরা হয়।

রাজনীতির সংস্কার ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেছে আইএমএফ। অবশ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে বিনিময় হার আরও নমনীয় করা ও কর রাজস্ব বাড়াতে নেওয়া সংস্কারকাজের প্রশংসা করেছে তারা। এর পাশাপাশি সংস্থাটি বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ পুনর্গঠন ও মূল্যস্ফীতি কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। সরকারি ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমিয়ে একটি টেকসই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত বলেও মত দিয়েছে আইএমএফ। 

স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহল থেকে যেসব সুযোগ–সুবিধা পাচ্ছে, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হলে তার অনেকটাই কমে যাবে। এ জন্য কেবল বিদেশি সংস্থা নয়, দেশের অর্থনীতিবিদেরাও প্রাক্‌–প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন।  

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে যে অর্থনীতি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে, সেটা জানতে আইএমএফ বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনের প্রয়োজন পড়ে না। দেশের সাধারণ মানুষ সাদাচোখেই সেটা দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব এ বিষয়ে কতটা সজাগ আছে, সেই প্রশ্ন আছে। দিনের পর দিন আলোচনা করেও কেন তারা সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে না? যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পরস্পর বিপরীত মেরুতে, সেখানে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করা কঠিনই বটে। 

আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলো অবিলম্বে ন্যূনতম বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করবে, যাতে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করা যায়। কোনো দল যদি নিজের অবস্থানে অনড় থাকে এবং অন্যদের কথা শুনতে না চায়, তাহলে রাজনৈতিক ঐকমত্য কখনো হবে না। এই সরল সত্য কথাটি সংশ্লিষ্ট সবাই মনে রাখবে আশা করি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ পুনর্গঠনের বার্তা নিয়ে ভোটারদের কাছে যেতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পরামর্শ এবি পার্টির
  • নির্বাচন বিলম্বিত বা না হওয়ার জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়া হচ্ছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি
  • টাকা ও ক্ষমতা ব্যবহার করে দল গড়া মানুষ দেখতে চায় না: জোনায়েদ সাকি
  • গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে ‘জনগণ’ কীভাবে কথা বলবে
  • ঐকমত্যের আলোচনা ও প্রক্রিয়া কতটা সফল হবে?
  • ক্ষমতার দাপটের পরিণাম ভোগ করছে বিগত সরকার: বদিউল আলম মজুমদার
  • সংস্কার কাজে আলোচনার চেয়ে খাওয়াদাওয়া বেশি হচ্ছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • জুলাই সনদে কী থাকছে, কী থাকা উচিত