পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (এফএফআইএল) বিরুদ্ধে স্টার্লিং ক্রিয়েশনস লিমিটেডের এফডিআরের (ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট) পাওনা টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) স্টার্লিং ক্রিয়েশনসের উত্থাপিত অভিযোগ সক্রিয়ভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

এরই ধরাবাহিকতায় ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। গঠিত কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে ৭টি নির্দেশনা সাপেক্ষে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়টি এফএফআইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া, বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা রাইজিংবিডি ডটকমকে এই তথ্য দিয়েছেন।

গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভীন, সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন ও সহকারী পরিচালক মো.

তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গঠিত তদন্ত কমিটি ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের কাছে স্টার্লিং ক্রিয়েশনসের এফডিআর বাবদ পাওনা পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতা ছিল কি-না তা যাচাই করবে। একইসঙ্গে এফএফআইএলের পক্ষ থেকে সিকিউরিটিজ সম্পর্কিত কোনো আইন, বিধি, নির্দেশনা বা নোটিফিকেশন লঙ্ঘন করা হয়েছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। পাওনাদার (স্টার্লিং ক্রিয়েশনস) দেনাদারকে (এফএফআইএল) কোনো আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল কি-না এবং তা পাঠানো হলে, দেনাদার পক্ষ থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল কি-না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া, করপোরেট দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে এফএফআইএল কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং করপোরেট গভর্নেন্স কোড, ২০১৮ এ ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট ছিল কি-না সেটাও খতিয়ে দেখবে গঠিত তদন্ত কমিটি।

বিএসইসির তদন্তের আদেশ
ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বিরুদ্ধে স্টার্লিং ক্রিয়েশনসের অভিযোগ সক্রিয়ভাবে তদন্ত করার জন্য বিএসইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসির জারি করা আদেশ অনুযায়ী বিএসইসিকে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এফএফআইএলের ৭টি বিষয় তদন্ত পরিচালনা করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, তিন জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তাদের ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে কমিশনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তবে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য আরো সময় চেয়ে আবেদন করে গঠিত তদন্ত কমিটি। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষতে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আরো ৬০ কার্যদবস সময় বাড়িয়ে দিয়েছে কমিশন।

যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি

ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের কাছে স্টার্লিং ক্রিয়েশনসের অনাদায়ী এফডিআর পরিশোধের সক্ষমতা ছিল কি-না এবং যদি সক্ষমতা থেকে থাকে, তবে তা সত্ত্বেও তারা পরিশোধে অনিচ্ছুক ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে। একই সঙ্গে, এ বিষয়ে কোনো সিকিউরিটিজ আইন, বিধি, নির্দেশনা বা নোটিফিকেশনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখবে গঠিত তদন্ত কমিটি।

পাওনাদার স্টার্লিং দেনাদার এফএফআইএলকে কোনো আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ছিল কি-না এবং তা পাঠানো হলে, দেনাদার পক্ষ থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল এবং তা পর্যাপ্ত ছিল কি-না সেটা যাচাই করা হবে।

এফএফআইএল কর্তৃপক্ষ পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কোনো নীতিমালা গ্রহণ করেছিল কি-না এবং পরিপক্বতা প্রাপ্ত স্কিমে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত না দিলে বকেয়া অর্থের ওপর সুদে-সুদের ভিত্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা ছিল কি-না তখিয়ে দেখা হবে।

এফএফআইএল থেকে করপোরেট দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং করপোরেট গভর্নেন্স কোড, ২০১৮ এর বিধানগুলো এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিল কি-না তা নির্ধারণ করা হবে।

এফএফআইএলের অবসায়ন না করে, স্টার্লিং ক্রিয়েশনসের পাওনা (অনাদায়ী এফডিআর) পরিশোধের সুপারিশ প্রদান করবে গঠিত তদন্ত কমিটি।

বিএসইসি থেকে পুনর্গঠিত এফএফআইএলের পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড) পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি-না তা যাচাই করা হবে।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ আইন, ১৯৯৩ অনুযায়ী বিএসইসি যে দায়িত্ব ও ম্যান্ডেট বহন করে, তা যথাযথভাবে পালন করে বিনিয়োগকারী, পাওনাদার ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে- সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে গঠিত তদন্ত কমিটি।

সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ প্রদান করেনি ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এরপর থেকে বিগত ৮ বছর ধরে কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি।

শেয়ার ধারণ পরিস্থিতি

ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৩ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ কোম্পানিটির মোট পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩০টি। ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের হাতে ৩৯.৭৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২.৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৬৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এ কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৮২১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩.৫০ টাকায়।

 সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সমস্যাগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ওই প্রতিবেদনে উল্লিখিত তালিকায় ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের নাম রয়েছে। চরম আর্থিক অবস্থায় থাকা ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিকে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমানতকারীর জমানো টাকা ফেরত দিতে না পারা, উচ্চ খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতি– এ তিন সূচকের ভিত্তিতে কোম্পানিটিকে একীভূত করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এসব বিষয়ে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র য় শনস র পদক ষ প ন ব এসইস র পর শ ধ র করপ র ট ত কর র ম পর চ ন ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

তিন ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৯৭৫তম কমিশন সভায় এই বন্ড অনুমোদন করেছে কমিশন। বিএসইসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আরো পড়ুন:

প্রিফারেন্স শেয়ার, বন্ডের বিনিয়োগ সিআইবিতে রিপোর্ট করতে নির্দেশ

পুঁজিবাজারে সূচকের পতনে সপ্তাহ শুরু, কমেছে লেনদেন

ব্র্যাক ব্যাংক:
ব্র্যাক ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, কুপন রেয়ারিং, ফ্লোটিং রেট, সোস্যাল সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কুপর মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্র্যাক ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল: 
কমিশন সভায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন-কনভার্টিবল,রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ট্রাস্ট ব্যাংক: 
কমিশন সভায় ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউট, নন কনভার্টিবল, রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাবর্ডিনেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। যার কুপন রেট হবে রেফারেন্স রেট প্লাস ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক লাখ টাকা।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংকের টিআর-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেসবুকে বিজ্ঞাপন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, বিনিয়োগ প্রতারণার ফাঁদ
  • তিন ব্যাংকের ২৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন