এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি প্রথম পত্রে যেভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে
Published: 29th, June 2025 GMT
এইচএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে এ প্লাস পেতে হলে সব বিষয়েই বেশি নম্বর পাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বেশি নম্বর পেতে ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নের উত্তর সঠিক নিয়মে কীভাবে লিখতে হবে এবার তা জেনে নেওয়া যাক।
রিডিং টেস্ট—৬০ নম্বরসিন অনুচ্ছেদ: এ অংশ থেকে তিনটি প্রশ্ন আসবে—১, ২ ও ৩ নম্বর। সিন অনুচ্ছেদটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
প্রশ্ন নম্বর ১
১ (এ) প্রশ্নে ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নে ৪টি বিকল্প উত্তর দেওয়া থাকবে। বিকল্প উত্তর থেকে সবচেয়ে সঠিক উত্তরটি বাছাই করে লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য দশমিক ৫×নম্বর করে মোট ১০টি প্রশ্নের জন্য সব মিলিয়ে ৫ নম্বর থাকবে।
১ (বি) নম্বরে পাঁচটি প্রশ্ন থাকবে। এই প্রশ্নের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা, সৃষ্টিশীলতা ও অনুধাবন ক্ষমতা, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন শক্তি ইত্যাদি দেখা হয়। দুই বা তিন বাক্যে এসব প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৩ নম্বর করে মোট পাঁচটি প্রশ্নের জন্য ১৫ নম্বর থাকবে।
প্রশ্ন নম্বর ২
সিন অনুচ্ছেদ থেকে নেওয়া অংশের ফ্লোচার্ট অথবা ইনফরমেশন ট্রান্সফার থাকবে।
ফ্লোচার্ট: প্রদত্ত প্যাসেজের সম্পূর্ণ বা আংশিক বক্তব্য একটি ফ্লোচার্টের মাধ্যমে এক নম্বর বক্সে দেওয়া থাকবে। বাকি ৫টি বক্সে প্রদত্ত বক্তব্যের পরিণতি বা ফলাফল ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে। বক্তব্যগুলো Short phrase-এ পত্রিকার শিরোনামের মতো করে লিখতে হবে।
ইনফরমেশন ট্রান্সফার: একটি সিন অনুচ্ছেদ দেওয়া থাকবে। এর ওপর ভিত্তি করে পাঁচটি শূন্যস্থান থাকবে। সেগুলো টেবিল অথবা গ্রিড ফরম্যাটে উপস্থাপিত হবে। যথাযথ তথ্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে।
প্রশ্ন নম্বর ৩
সিন অনুচ্ছেদ (পাঠ্যবই থেকে নেওয়া অনুচ্ছেদ অথবা কবিতা): এই অনুচ্ছেদ অথবা কবিতা অবলম্বনে সারাংশ লিখতে হবে। আর সারাংশটি হবে উল্লেখ করা অনুচ্ছেদের তিন ভাগের এক ভাগ। সারাংশে পরোক্ষ উক্তি, নিজস্ব শব্দ, সরল বাক্য ব্যবহার করা ভালো। সবকিছুই প্রদত্ত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী লিখতে হবে। এতে ১০ নম্বর থাকবে।
আনসিন অনুচ্ছেদ: এ অংশ থেকে তিনটি প্রশ্ন আসবে—৪, ৫ ও ৬ নম্বর।
প্রশ্ন নম্বর ৪
এটি Close Text With Clues ধরনের প্রশ্ন। পাঠ্যবইয়ের বাইরে থেকে আসা অনুচ্ছেদে মোট ১০টি শূন্যস্থান থাকবে। সেগুলোর জন্য ১২টি শব্দের একটি তালিকা থাকবে। তালিকা থেকে উপযুক্ত শব্দ বেছে নিয়ে প্রয়োজনে সেগুলোর ফর্ম বদল করে উত্তর লিখতে হবে। এর জন্য ৫ নম্বর থাকবে।
প্রশ্ন নম্বর ৫
এটি Close Text Without Clues ধরনের প্রশ্ন। মোট ১০টি শূন্যস্থান থাকবে। আর এর জন্য কোনো শব্দের তালিকা থাকবে না। প্রদত্ত অনুচ্ছেদের বিষয় অনুযায়ী শব্দ নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে।
প্রশ্ন নম্বর ৬
এটি Re-arranging বাক্যের ওপর প্রশ্ন। এখানে পরস্পর অর্থ সংগতিবিশিষ্ট মোট ১০টি বাক্য থাকবে। আর এই ১০টি এলোমেলোভাবে দেওয়া বাক্যকে ঘটনার পরম্পরা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে সাজাতে হবে। বাক্যের সিরিয়াল নম্বর ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে। বাক্যগুলো প্যাসেজ আকারে না লিখলেও চলবে।
গাইডেড রাইটিং—৪০ নম্বরপ্রশ্ন নম্বর ৭
গ্রাফ ও চার্ট ব্যাখ্যা করতে কিছু ভিন্ন শব্দমালা প্রয়োগ করা হয়। সেগুলো বুঝে নিয়ে মনে রাখতে হবে। যেমন ‘Steady rise, sharp fall, sharp decline, sharp rise, highest, lowest, moderate’ ইত্যাদি। প্রতিটি বর্ণনায় মূল বৈশিষ্ট্য আর তথ্য-উপাত্তের দিকে দৃষ্টি রাখবেন। বিস্তারিত বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকবেন। অনুমাননির্ভর তথ্য দেওয়াও যাবে না। তথ্য-উপাত্ত পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে। তথ্য-উপাত্তের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে সামগ্রিক বিষয়ের ওপর মন্তব্য লিখে এ অংশের সমাপ্তি টানতে হবে। এ জন্য ১৫ নম্বর থাকবে।
প্রশ্ন নম্বর ৮
এ প্রশ্নের উত্তরে একটি অসম্পূর্ণ গল্পকে সম্পূর্ণ করে লিখতে হবে। প্রশ্নে গল্পের যতটুকু দেওয়া থাকবে, তার সঙ্গে নতুন বাক্য লিখে তাকে সম্পূর্ণ করে লিখতে হবে। গল্পটির একটি প্রাসঙ্গিক শিরোনামও লিখতে হবে। এটা কিছুতেই ভোলা যাবে না।
প্রশ্ন নম্বর ৯
একটি অনানুষ্ঠানিক চিঠি লিখতে হবে। বাস্তব প্রয়োজনে আমরা যেভাবে চিঠি লিখি, সেভাবেই এই চিঠি লেখার চেষ্টা করতে হবে। চিঠির বিষয়টি যেন সুন্দর ও যথাযথ হয়। লেখায় ব্রিটিশ বা আমেরিকান স্টাইলের মিশ্রণ না করে যেকোনো একটি স্টাইলে লিখতে হবে। চিঠির চারপাশে পর্যাপ্ত মার্জিন রাখতে হবে। যদি চিঠির ওপরে ডান পাশে ঠিকানা ও তারিখ লেখা হয়, তাহলে চিঠির শেষেও ডান পাশে লিখতে হবে। চিঠিটি ১৮০ থেকে ২০০ শব্দের মধ্যে হলে ভালো হয়। এ জন্য ১০ নম্বর থাকবে।
লেখক: ইকবাল খান, প্রভাষক, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন অন চ ছ দ ম ট ১০ট প রদত ত পর ক ষ র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ, ঢাকা বোর্ডের নতুন জিপিএ–৫ পেলেন ২০১ পরীক্ষার্থী
২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০১ জন পরীক্ষার্থী। আর ফেল থেকে পাস করেছেন ৩০৮ জন পরীক্ষার্থী।
আজ রোববার সকালে পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, এবার ৭৯ হাজার ৬৭১ জন শিক্ষার্থী ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৩১ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদনের সময় বৃদ্ধি১৩ নভেম্বর ২০২৫শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে গত বৃহস্পতিবার বলা হয়েোছিল, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন। আবেদনকারীর দেওয়া মোবাইল ফোন নাম্বারে এসএমএস পাঠানো হবে। ফলাফল http://www.educationboardresults.gov.bd/ ওয়েবসাইট থেকেও জানা যাবে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণ বা খাতা চ্যালেঞ্জ প্রক্রিয়া গত ২৩ অক্টোবর শেষ হয়। পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুধু অনলাইনে করা হয়েছে। অন্যবার এসএমএসের মাধ্যমেও এ সুযোগ ছিল।
এ বছর ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা ফল গত ১৬ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়েছে।