আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না। 

বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি ও ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি আসলে আমরা হয়ত সারের সরবরাহ বাড়াতে পারব। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনোভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, এনবিআরকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড.

এম সাখাওয়াত হোসেনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন, দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরে কোনো প্রজ্ঞাপন নেই, আগেও কোনো প্রজ্ঞাপন নেই। আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নট এ ডিসিশন মেকার। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আলোচনার দরকার আছে কি নেই, সে বিষয়ে কথা বলার আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাওয়া আছে কি নেই, সেটা বুঝলে পরে আমরা বসব।

বন্দরে স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে, সেগুলো এখন জাহাজিকরণ হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে, খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।

আন্দোলনকারীদের প্রতি ইঙ্গিত করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আপনি নাই বলে কোনো কাজ থেমে থাকবে, এটা বাংলাদেশে হবে না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ