জারিন তাসনিমার একক চিত্র প্রদর্শনী ‘মাটি, মূর্তি ও মানস’
Published: 4th, July 2025 GMT
সাদা ক্যানভাসে চারকোলে আঁকা চিত্রকর্ম। তাতে তুলে ধরা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এরূপ ১৫টি চিত্রকর্ম নিয়ে শিল্পী জারিন তাসনিমার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী ‘মাটি, মূর্তি ও মানস’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উত্তরার এলবিয়ন আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এটি চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.
নিজের প্রথম প্রদর্শনী ও শিল্পকর্মের অভিজ্ঞতা জানিয়ে জারিন তাসনিমা বলেন, কাজের মূল উৎসাহটা আমি পেয়েছি বাবার কাজের সুবাদে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে আমার। দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ঘুরে দেখার ফলে আগ্রহ জাগে সেগুলোর পেছনের ইতিহাস জানার। বরেন্দ্র, মহাস্থানগর,পাহাড়পুর, ময়নামতি দেখেছি,তাদের ইতিহাস জেনেছি। যে ইতিহাসের যতো গভীরে গিয়েছি, ততো বেশি বুঝতে পেরেছি যে, এগুলো আমাদের শেকড় সন্ধানী উপাদান। নিজেদের শেকড়কে যেন শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে জানাতে পারি। সেই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আমার এই প্রদর্শনী।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জাহাঙ্গীরনগর’ শীর্ষক মাদকবিরোধী আলোচনা সভা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় ইউপি সদস্যের বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা
উখিয়ায় বিজিবির পৃথক অভিযানে ৭০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রাশিদুল আলম মাদকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “মানুষ কৌতুহল থেকে মাদক গ্রহণ করে। একবার মাদকাসক্ত হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা কঠিন। ছোট মাদক গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাদকে প্রবেশ শুরু হয়। এরপর সে মাদকের বিভিন্ন দ্রব্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে।”
তিনি আরো বলেন, “আসক্তদের সর্বোচ্চ ১৭ শতাংশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। এজন্য মাদক থেকে দূরে থাকাই সবচেয়ে উত্তম।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “মাদকাসক্তরা বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত। একেকজন মানুষ একেকটি স্বপ্ন। পিতা-মাতার এই স্বপ্ন পূরণে লক্ষ্যচ্যুত হওয়া যাবে না।”
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সঙ্গ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এমন কারো সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না, যাতে স্বভাবে নেতিবাচক পরিবর্তন আসে। এজন্য সবসময় মাদক ও মাদক সংশ্লিষ্টদের থেকে দূরে থাকতে হবে।”
শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী