ক্ষুব্ধ লিটন বললেন, ‘বোর্ড বলেছে যে দল দেবে, সেটা নিয়েই কাজ করতে হবে’
Published: 26th, November 2025 GMT
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। তাঁকে টি–টোয়েন্টি সিরিজের জন্য শুভকামনা জানান এক সাংবাদিক। স্বাভাবিক সময়ে লিটন এসব শুভকামনার উত্তর দেন। কিন্তু আজ বললেন না কিছুই। সোজা হাঁটা ধরলেন ড্রেসিংরুমের পথে।
‘স্বাভাবিক সময়ে’ বলতে হচ্ছে, কারণ লিটন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের আগের সংবাদ সম্মেলনে যা বলে গেছেন, তা একরকম অস্বাভাবিক। এতটা সোজাসাপটাভাবে সাধারণত বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় না অধিনায়কদের।
ক্ষোভ প্রকাশের শুরু হয় এই সিরিজের দল থেকে শামীম হোসেনের বাদ পড়াকে ঘিরে একটি প্রশ্ন নিয়ে। শামীমের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। সর্বশেষ তিন ম্যাচে ০, ১, ১ করার পর এই সিরিজে তাঁকে রাখা হয়নি। শামীমকে বাদ দেওয়াটা তাই খুব একটা বড় ঘটনাও কারও কাছে মনে হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুনধবলধোলাই হয়ে লিটন বললেন, ‘একটা বিরতি দরকার’৩১ অক্টোবর ২০২৫কিন্তু এ ব্যাপারে অধিনায়কের দৃষ্টিভঙ্গিটা জানতে চাইতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন লিটন। তিনি বলেন, ‘দেখেন, (শামীম) থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। এটা আমার কল (সিদ্ধান্ত) না, পুরোপুরি নির্বাচকদের কল। আমি জানি না কেন, কিন্তু নির্বাচকেরা আমাকে কোনো কিছু নোটিশ করা ছাড়াই শামীমকে বাদ দিয়ে দিয়েছে দল থেকে, উইদাউট এনি নোটিশ। আমি এত দিন জানতাম যে একটা দল যখন মানুষ হ্যান্ডেল করে, অন্তত অধিনায়ক জানে যে কোন খেলোয়াড়টা ঢুকবে, কোন খেলোয়াড়টা আউট হবে।’
শামীম হোসেনকে দলে চেয়েছিলেন লিটন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জোছনায় জলঝিঁঝি
ডোডো
কষ্টগুলো পাখির মতন পোষা ছিল
ডানা ঝাপটে উড়ে গেল, শীত থেকে শীতে,
তোমারও অনেক পাখি ছিল, পোষা ছিল,
পাঁজরখাঁচায় পুষে কারে ছেড়ে দিলে?
সেই পাখি বনে বনে নীড় খুঁজে যায়
আমরা ছিলাম ডোডো পাখি মরিশাসে
মানুষ দেখলে ছুটে যেতাম তাদের কাছে
একদিন মরে গেছি, ভেসে গেছি জলে—
জেনে গেছি স্পর্শে প্রেম ফিকে হয়ে আসে
তার চোখে ঘুম লেগে আছে
প্রচণ্ড প্রেমের নেশা করেছে সে,
যত দীর্ঘ শীতরাত, তার চেয়ে
দীর্ঘ রাত নামে তার চোখে,
বাদুরের ডানার মতন ভাঁজ খুলে
উড়ে যায় ঘুম, তার শীৎকার
রোদ হয়ে মিশে যায় কুয়াশায়
ম্রিয়মাণ নিবু নিবু আলো
সুদান, সুগন্ধী কালো ফুল,
জোছনা বিছানো বালুপথে
থরে থরে পড়ে আছ তুমি,
পাপড়ি আঁকড়ে ধরে আছে
ফুলপ্রেমী পতঙ্গের দল—
সামান্য বাতাসে উড়ে রেণু,
সেই রেণু সাহারার পথে
লাল বালুঝড় হয়ে বয়—
সুদান, সুন্দর ফুল তুমি,
তোমাকে কামড়ে ধরে আছে
মৌপোক, ভ্রমর, মাকড়েরা...
কাঁঠালচাঁপার মৃদু ঘ্রাণ চেটেপুটে খাই
ফুলের সুবাস ছুঁয়ে যায় আলজিব অবধি
আজন্ম মৌপোক জেনে তবু তুমি
প্রসারিত করে দিলে তোমার পাপড়িগুচ্ছ,
বুকে শুনি শুকনো ক্যাকটাস হাহাকার করে,
তবু বেদুইনের চোখ পেয়েছে তোমার
গহিনে লুকোনো এক মরুব্যাঙের মুখে
পানীয় জলের খোঁজ,
আমরা দুজন কোনো ম্যানগ্রোভ বনের
কাদামাটির ভেতর ঢুকে আছি,
আমাদের শরীরে নোনাজলের স্রোত,
জোছনায় আমরা দুজন জলঝিঁঝি হয়ে
একটি দীর্ঘ সুরের মতন পড়ে আছি...
মোরগ হত্যাকে আমি পাপ মনে করি, মনে লয়
আমার পালিত সেই মোরগের সঙ্গে হয়তো আবার
দেখা হবে স্বর্গে, হবে অতিকায় মোরগ সে এক,
তার পিঠে চেপে আমি পাড়ি দেব আগুনের নদী—
পৃথিবীতে আকাশে সূর্যকে ডেকে এনেছে সে
পৃথিবীর সব পাখি যপে সূর্যদেবতার নাম,
পাখিকে নমস্য জানি, একদিন তাদের ডানায়
ভর করে সরীসৃপ জীবনে মিটবে উড়ো-স্বাদ,
প্রজাপতি, ভ্রমরের কাছে ফুল জানায় মিনতি
যে জীবন ঝরে যায় পাপড়ির জৌলুশ হারিয়ে
তারে যেন নতুন প্রাণের দেয় তারা স্পন্দন,
ফুলেরা পূজারী আজও সূর্যদেব আমুনের—
সূর্যমুখীবনে আমি ক্রন্দন শুনেছি পূর্ণগ্রাসে