মির্জাপুরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত মেহেদি খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৭ জুন মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা।

গ্রেপ্তার মেহেদি খান উয়ার্শী ইউনিয়নের সাফর্তা গ্রামের লিটন খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগও রয়েছে।

কিশোরীর বক্তব্য থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত মেহেদি খান কিছুদিন ধরে ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। গত ২৭ জুন বিকেলে ওই কিশোরী তার এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে পাশের গ্রামে নানাবাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেল ৫টার দিকে নানাবাড়ি থেকে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় তারা। কিছুদূর যাওয়ার পর ওই গ্রামেরই একটি নির্জন স্থানে পৌঁছলে পেছন দিক থেকে এসে দু’জনের হাত ধরে টানাহ্যাঁচড়া করতে থাকে মেহেদি খান। কিশোরীর বান্ধবী দৌড়ে মেহেদির বাড়িতে যায় ঘটনা জানাতে। এ সময় ওই কিশোরীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে বললে প্রাণে মারার হুমকি দেয়।

ঘটনা জানার পর কিশোরীর পরিবার মাতবরদের কাছে বিচার দাবি করে। ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও কোনো বিচার না পেয়ে শনিবার থানায় মামলা করেন কিশোরীর মা। এর আগে শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত মেহেদি খানকে আটক করে।

শনিবার দুপুরে কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন মাতবর জানান, রাস্তায় হাত ধরে টানাহ্যাঁচড়া করার অভিযোগ করে কিশোরীর পরিবার। অভিযুক্ত আত্মগোপনে থাকায় সামাজিকভাবে বিচার করা সম্ভব হয়নি। কিশোরীর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ র র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু জিনিয়ার হৃদ্‌যন্ত্রের ছিদ্রের চিকিৎসায় সহায়তা প্রয়োজন

মাত্র চার লাখ টাকায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার (১১)। চলতি বছরের শুরুতে তার হৃদ্‌যন্ত্রে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য জরুরি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।

জিনিয়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলমদার গ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে। আবদুল জব্বার পেশায় গ্রাম পুলিশ।

আবদুল জব্বার বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ ভিটেবাড়িই তাঁর একমাত্র সম্বল। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রাম পুলিশের চাকরি করে মাসে সাত হাজার টাকা বেতন পান। এই আয়ের ওপর নির্ভর করে কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের জীবন বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আবদুল জব্বার। জিনিয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে আবদুল জব্বার, হিসাব নম্বর; ৫৩০৫৮৩৪১২৬৪২৩, সোনালী ব্যাংক, ডোমার শাখা, নীলফামারী। মুঠোফোন নম্বরে— 01774644253 (বিকাশ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ