বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গিদের অবস্থান নেই। এখানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই।’’

রবিবার (৬ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ‘জঙ্গি’ ট্যাগ দেয়ার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘দেশে যে তিন জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের কেউ জঙ্গি নন। মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেস রিলিজ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

হলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি

‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ প্রচারণাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে: কমিশন

মালয়েশিয়ার পুলিশের প্রধান যে পাঁচজনের কথা বলেছেন, তারা এখনো দেশে আসেননি বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।’’ তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তাদের কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা নেই।’’

মালয়েশিয়ার আইজিপি বাংলাদেশের পাঁচজনকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সে দেশের (মালয়েশিয়ার) আইজিপি কী বলেছেন, আমি জানি না। আমরা অফিসিয়ালি সরকারি লেভেলে কোনো মেসেজ পাইনি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যে মেসেজ পেয়েছি, সেটা সঠিক নয় এবং বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব নেই।’’ 
 

ঢাকা/এমআর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় চীন সব সময় পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, আসন্ন নির্বাচন, চীন–বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবি পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসরীন সুলতানা এবং দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মজিবুর রহমান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে বিস্তারিত আলোচনা শেষ হয়েছে এবং এখন সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে। গণভোট ও নির্বাচন বিষয়ে শিগগিরই ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছাড়া দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তিনি ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে দূতাবাসের রাজনৈতিক পরিচালক ঝাং জিং ও কর্মকর্তা লিউ হংরু উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ