পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ বন্ড ইস্যু পরিকল্পনায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডের পরিবর্তে এবার জিরো কুপন সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি ব্যাসেল-৩ এর নির্দেশনা অনুযায়ী টায়ার-২ মূলধন শক্তিশালী করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, এটি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অনুমোদনের পর চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে।

আরো পড়ুন:

বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে শিল্প উপদেষ্টা-বিএসইসি বৈঠক

ডিএসইর ‘ডিএস৩০’ সূচক সমন্বয়

জিরো কুপন বন্ডে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত সুদ না দিয়ে ছাড়মূল্যে বিক্রি করা হয় এবং পরিপক্কতার সময় পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়। ফলে, এ ধরনের বন্ড ইস্যু ব্যাংকের মূলধন কাঠামো পুনর্গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

ঢাকা/এনটি/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জনমানসের পরিবর্তন একক কারণে নয়

জনমত জরিপে প্রায় ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ইসলামি আইন প্রবর্তন করলে এর ফল ভালো হবে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সমাজে এমন মনোভঙ্গি তৈরি হয়েছে যে ইসলামি আইনে মুক্তি নিহিত। এ জনমানসের পরিবর্তন একক কারণে ঘটেনি। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো গণতন্ত্রহীনতা, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনের অভাব। বিদ্যমান রাজনীতির ভেতর মানুষ শুভ বা কল্যাণের ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে না, যা মানুষের ভেতর আশাহীনতা তৈরি করে। মানুষ জাগতিক ব্যবস্থার চেয়ে পারলৌকিক ব্যবস্থায় মুক্তি খুঁজতে চাইছে। মোদ্দাকথা, দুর্বল রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা ইসলামি আইনের প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে। বিন্নি ধান লাগিয়ে আতপ চাল আশা করা যায় না। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র বিগত বছরগুলোতে সেই পরিক্ষেত্র তৈরি করেছে।

রাষ্ট্র একটি জাগতিক প্রতিষ্ঠান। এর পরিচালনা ব্যবস্থা ও আইনি পরিকাঠামোর বিশ্বজনীন মান দাঁড়িয়ে গেছে। আর তা হলো গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। গণতন্ত্রেই মুক্তি। গণতন্ত্রের চিন্তা ও চর্চা এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সব ধর্ম, মত, জেন্ডার, বর্ণ ও সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে আইন প্রণয়ন করা হয়, যাতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠিত হয়।

বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সুদৃঢ় হচ্ছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রতি জনগণের সমর্থন বাড়ছে। এ জরিপে দেখা গেছে, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী প্রায় ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর প্রভাব বেড়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার কারণে অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী–সমর্থক জেল ও জুলুমের শিকার হয়েছেন। শেখ হাসিনার নিপীড়নমূলক শাসনের প্রতিক্রিয়ায় ধর্মীয় বোধ ও ধর্মসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক সংযুক্তি বেড়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা এবং সমাজে ধর্মীয় কার্যক্রমের পরিধি বেড়েছে। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্বাসের নেটওয়ার্ক ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা, জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক তৎপরতা অবারিত না হওয়া এবং ১৪–দলীয় জোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ায় ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ সুযোগ পাচ্ছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর অপশাসন ও ব্যর্থতা মানুষের ভেতর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিষয়ে সম্মতি উৎপাদন করছে।

খান মো. রবিউল আলম, যোগাযোগ-পেশাজীবী; শিক্ষক

সম্পর্কিত নিবন্ধ