জঙ্গিবাদবিরোধী সুধী সমাবেশে ডিআইজি বললেন, ‘জঙ্গিবাদ একসময় ছিল একটা নাটক’
Published: 13th, July 2025 GMT
ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ একসময় ছিল একটা নাটক। এই নাটক থেকে আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। আমরা দীর্ঘ ১৮ বছর যে ফ্যাসিস্ট দ্বারা কবলিত ছিলাম, সেই ফ্যাসিস্ট থেকে আমরা মুক্ত। আমরা নতুন বাংলাদেশের নতুন পুলিশ হিসেবে কাজ করছি।’
আজ রোববার শরীয়তপুর পুলিশ লাইনসে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক এ কথা বলেন। বেলা ১১টায় পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।
অনুষ্ঠানে ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, সড়ক ও নৌপথসহ বিভিন্ন জায়গায় যে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সেসব চাঁদাবাজি রোধে কাজ করছে পুলিশ। কোনো চাঁদাবাজি, কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলবে না। চাঁদাবাজ যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই ধরা হবে।
সুধী সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, সুশীল সমাজের সদস্য ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে গণ-অভ্যুত্থানে শরীয়তপুরের ১৪ শহীদ পরিবারকে উপহারসামগ্রী তুলে দেন ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দিন, জেলা জামায়াতের আমির আবদুর রব হাসেমী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড আইজ
এছাড়াও পড়ুন:
অকারণে মানুষ আপনাকে আঘাত করে? এর পেছনেও থাকতে পারে এই ৪ কারণ
আলো যত উজ্জ্বল, ছায়া তত গভীর।কার্ল ইয়ুং (১৮৭৫-১৯৬১), সুইস মনোবিজ্ঞানী ও মনোচিকিৎসক১. মনের ভেতরের ছায়া
প্রত্যেক মানুষের মধ্যে এমন একটি অংশ আছে, যেখানে লুকিয়ে থাকে রাগ, ভয়, লজ্জা, হিংসা আর অনিরাপত্তা। কেউ কেউ এই অংশকে বোঝেন, মেনে নেন। আবার কেউ ভেতরেই চেপে রাখেন। আর সেই দমন করা আবেগ একসময় ফেটে পড়ে অন্যের প্রতি নেতিবাচক আচরণ হিসেবে।
কার্ল ইয়ুং এ প্রক্রিয়াকে বলেছিলেন ‘প্রজেকশন’। বাংলায় বললে অভিক্ষেপ। মানে নিজের ভেতরের কষ্ট বা দুর্বলতাকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেন অনেকেই। যেমন কেউ নিজের অযোগ্যতা মেনে নিতে না পেরে আরেকজনকে দুর্বল হিসেবে চালিয়ে দেন। এভাবে তিনি নিজের কষ্ট থেকে বাঁচতে চান। কিন্তু এতে বাস্তব চিত্রটা অকৃত্রিম থাকে না, সম্পর্ক ভাঙে আর অকারণ সংঘাত তৈরি হয়।
এই ধারণা বুঝতে পারলে উপলব্ধি করতে পারবেন, যিনি আঘাতটা করলেন, তিনি আদতে তাঁর সমস্যারই বহিঃপ্রকাশ করলেন। তখন আমরা প্রতিশোধ নয়, সহমর্মিতা বেছে নিতে পারি।
দমন করা আবেগ একসময় ফেটে পড়ে অন্যের প্রতি নেতিবাচক আচরণ হিসেবে