‘রাজের বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন-ঝিনঝিন কোনোটাই করে না’
Published: 12th, August 2025 GMT
একসময় চুটিয়ে প্রেম করেছেন শুভ গাঙ্গুলি ও দেব। সেই প্রেম ভাঙার পর পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন শুভশ্রী। দেব নিজের জীবন জড়িয়েছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে। দেব-শুভশ্রীর প্রেম ভাঙার মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল। পেশাগত কারণে ফের একমঙ্গে উপস্থিত হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন।
দেব-শুভশ্রী একমঞ্চে হাজির হওয়ার পর নেটিজেনরা দারুণভাবে চর্চায় মেতে ওঠেন। আক্রমণ করে মন্তব্য করেন রাজের প্রাক্তন স্ত্রী শতাব্দী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেন—“কিরে, কেমন লাগছে? আমারও ঠিক এরকমই লেগেছিল, ঠিক এইরকমই। বুঝলে তো? হিস্টোরি রিপিটস। বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন করছে তো.
রাজের প্রাক্তন স্ত্রীর এই মন্তব্য নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সরব হয়েছেন শুভশ্রীর বড় বোন অভিনেত্রী দেবশ্রী গাঙ্গুলি। তার ভাষায়, “না, বুকের বাঁ দিকটা ওর চিনচিন, ঝিনঝিন কোনোটাই করেনি। ওর নাম রাজ চক্রবর্তী। উনি শুধু সফল পরিচালক, প্রযোজক বা বিধায়ক নন, সফল স্বামী এবং বাবাও। শুধুই নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষদের নয়, নিজের পরিবারেরও যত্ন নিতে জানেন। রাজ চেনেন তার অভিনেত্রী স্ত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে।
আরো পড়ুন:
এক মঞ্চে দুই প্রাক্তন: রুক্মিণী-রাজকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য, মুখ খুললেন দেব
স্ত্রীকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য, নীরবতা ভাঙলেন আবির
এই দেখা সেই দেখা নয়! রাজ জানেন, একটা সিনেমা কীভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। রাজই তার স্ত্রীর সবচেয়ে বড় সমর্থক, উৎসাহদাতা, ‘চিয়ার লিডার’ বলেও জানান দেবশ্রী।
শুভশ্রীর সবকিছুই জানেন দেবশ্রী। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, “আমি আমার ছোট বোনের জন্ম, বেড়ে ওঠা, ইন্ডাস্ট্রি জয় করা, দেবের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং মন ভাঙা—সবকিছুর সাক্ষী। আজ আমি খুব গর্ব করে, অহংকার করে বলি, শুভ শুধুই যে প্রত্যেক মুহূর্তে নিজেকে ভেঙেগড়ে দক্ষ অভিনেত্রী হয়েছে তা নয়। তারচেয়েও বড়, আমার বোন সাফল্যের শিখর ছুঁয়েও নিখুঁতভাবে নিজের সংসার, স্বামী-সন্তানের দেখভাল করছে। এই ভারসাম্য খুব কম মেয়ে রক্ষা করতে পারে।”
দেব-শুভশ্রীর একমঞ্চে দাঁড়ানোর নেপথ্যে রয়েছেন রাজ ও রুক্মিণীর অবদান। তা উল্লেখ করে দেবশ্রী বলেন, “সে দিন নজরুল মঞ্চে ইতিহাস তৈরি হলো। তার নেপথ্যে শুধুই কি দেব বা শুভশ্রী? তা তো নয়। কী করে অস্বীকার করা যাবে তাদের জীবনসঙ্গীদের! তারা ভরসা রেখেছেন বলেই এই ‘ইতিহাস’ তৈরি হতে পারল। ভুলে যাবেন না, দেব-শুভশ্রী দু’জনেই পেশাদার। ওরা কাজ করে নিজের বাড়ি ফেরে। আমার বোন কারো বউ। দুই সন্তানের মা। দেব তেমনই কারো সন্তান, কারো প্রেমিক।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে দেবশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, “আজ এই বয়সে এসে ওরা দু’জনেই জানে, কোথায় সীমা টানতে হয়। তাই রাজের বুকে চিনচিনে ব্যথা হয় না। বরং গর্বে বুক ফুলে ওঠে। ‘প্রাক্তন’ শব্দটা ভীষণ ভারী। সবার জন্যই। কিছু কিছু মানুষ সেই ভার সারা জীবন বহন করে চলে না। এটাও একটা ‘আর্ট’ মনে হয়। আবার নিজের জীবন নিজের মতো করে গুছিয়ে নেওয়াটাও তো এ রকম ‘আর্ট’ বা শিল্প। আপনারা কী বলেন?”
শুভশ্রীর মানসিক পরিপক্কতার প্রশংসা করে দেবশ্রী বলেন, “তাহলে কি আমার বোন আগের তুলনায় অনেক সংযত? এখন আর আগের মতো নিজের আবেগ, অনুভূতি প্রকাশ করে না? আমি বলব, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো মানুষেরই বদল হয়। যদিও সবটাই নির্ভর করে সেই মানুষটার উপর। শুভ অবশ্যই নিজেকে সংযত করেছে। তাই বলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না, সে কথাই বা কী করে বলি? ও যে ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ। এ প্রসঙ্গে নচিদার (নচিকেতা চক্রবর্তী) গানের কথায় বলতে হয়, ‘যার উষ্ণ আঁচে, ভালোবাসা বাঁচে…’। এখনো আমাদের দেখা হওয়ার পরে ও যেভাবে জড়িয়ে ধরে, মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আমার মনে হয় শুভ জানে, আবেগ, অনুভূতি— এগুলো কার কাছে প্রকাশ করবে।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে দেবশ্রী বলেন, “আমি একে ঠিক বদল বলব না। শুভ আগের তুলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ হয়েছে। নিজের জীবন দিয়ে সঠিকটা বেছে নিতে শিখেছে। সারাক্ষণ চেষ্টা করে, পৃথিবীর সমস্ত নেতিবাচকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে। আগের তুলনায় আরো আধ্যাত্মিক মনের হয়েছে। এটাও ওকে মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করে। নিজের শিকড় শুভ কখনো ভোলে না। তাই হয়তো ঘরে-বাইরে আজ এত সফল। এটাও তো এক রকমের ‘আর্ট’!”
রাজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী উল্লেখ করে দেবশ্রী বলেন, “এর জন্য রাজের ভূমিকা অনেক। একজন মেয়ের পরিবার এবং পেশা—দুটো দিকে ভারসাম্য রেখে চলা তখনই কঠিন, যখন নিজের জীবনের উপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সংযত, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন, স্বামী-সন্তান আর নিজের কাজের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, সবটাই আমার ভগ্নিপতির মতো বর পেয়েছে বলেই শুভ পারে। সবকিছু দু’জনে ভাগ করে নেয়। আমি বাবা আমার জামাইকে নিয়ে একটু বেশিই পক্ষপাতদুষ্ট। আগেও বলেছি, এখনো বলি, আমার চোখে দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী রাজ চক্রবর্তী।”
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ন জ র জ বন অন ভ ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাজের বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন-ঝিনঝিন কোনোটাই করে না’
একসময় চুটিয়ে প্রেম করেছেন শুভ গাঙ্গুলি ও দেব। সেই প্রেম ভাঙার পর পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন শুভশ্রী। দেব নিজের জীবন জড়িয়েছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে। দেব-শুভশ্রীর প্রেম ভাঙার মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল। পেশাগত কারণে ফের একমঙ্গে উপস্থিত হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন।
দেব-শুভশ্রী একমঞ্চে হাজির হওয়ার পর নেটিজেনরা দারুণভাবে চর্চায় মেতে ওঠেন। আক্রমণ করে মন্তব্য করেন রাজের প্রাক্তন স্ত্রী শতাব্দী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেন—“কিরে, কেমন লাগছে? আমারও ঠিক এরকমই লেগেছিল, ঠিক এইরকমই। বুঝলে তো? হিস্টোরি রিপিটস। বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন করছে তো... আমারও করেছিল, ঠিক তেরো বছর আগে।”
রাজের প্রাক্তন স্ত্রীর এই মন্তব্য নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সরব হয়েছেন শুভশ্রীর বড় বোন অভিনেত্রী দেবশ্রী গাঙ্গুলি। তার ভাষায়, “না, বুকের বাঁ দিকটা ওর চিনচিন, ঝিনঝিন কোনোটাই করেনি। ওর নাম রাজ চক্রবর্তী। উনি শুধু সফল পরিচালক, প্রযোজক বা বিধায়ক নন, সফল স্বামী এবং বাবাও। শুধুই নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষদের নয়, নিজের পরিবারেরও যত্ন নিতে জানেন। রাজ চেনেন তার অভিনেত্রী স্ত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলিকে।
আরো পড়ুন:
এক মঞ্চে দুই প্রাক্তন: রুক্মিণী-রাজকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য, মুখ খুললেন দেব
স্ত্রীকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য, নীরবতা ভাঙলেন আবির
এই দেখা সেই দেখা নয়! রাজ জানেন, একটা সিনেমা কীভাবে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। রাজই তার স্ত্রীর সবচেয়ে বড় সমর্থক, উৎসাহদাতা, ‘চিয়ার লিডার’ বলেও জানান দেবশ্রী।
শুভশ্রীর সবকিছুই জানেন দেবশ্রী। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, “আমি আমার ছোট বোনের জন্ম, বেড়ে ওঠা, ইন্ডাস্ট্রি জয় করা, দেবের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং মন ভাঙা—সবকিছুর সাক্ষী। আজ আমি খুব গর্ব করে, অহংকার করে বলি, শুভ শুধুই যে প্রত্যেক মুহূর্তে নিজেকে ভেঙেগড়ে দক্ষ অভিনেত্রী হয়েছে তা নয়। তারচেয়েও বড়, আমার বোন সাফল্যের শিখর ছুঁয়েও নিখুঁতভাবে নিজের সংসার, স্বামী-সন্তানের দেখভাল করছে। এই ভারসাম্য খুব কম মেয়ে রক্ষা করতে পারে।”
দেব-শুভশ্রীর একমঞ্চে দাঁড়ানোর নেপথ্যে রয়েছেন রাজ ও রুক্মিণীর অবদান। তা উল্লেখ করে দেবশ্রী বলেন, “সে দিন নজরুল মঞ্চে ইতিহাস তৈরি হলো। তার নেপথ্যে শুধুই কি দেব বা শুভশ্রী? তা তো নয়। কী করে অস্বীকার করা যাবে তাদের জীবনসঙ্গীদের! তারা ভরসা রেখেছেন বলেই এই ‘ইতিহাস’ তৈরি হতে পারল। ভুলে যাবেন না, দেব-শুভশ্রী দু’জনেই পেশাদার। ওরা কাজ করে নিজের বাড়ি ফেরে। আমার বোন কারো বউ। দুই সন্তানের মা। দেব তেমনই কারো সন্তান, কারো প্রেমিক।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে দেবশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, “আজ এই বয়সে এসে ওরা দু’জনেই জানে, কোথায় সীমা টানতে হয়। তাই রাজের বুকে চিনচিনে ব্যথা হয় না। বরং গর্বে বুক ফুলে ওঠে। ‘প্রাক্তন’ শব্দটা ভীষণ ভারী। সবার জন্যই। কিছু কিছু মানুষ সেই ভার সারা জীবন বহন করে চলে না। এটাও একটা ‘আর্ট’ মনে হয়। আবার নিজের জীবন নিজের মতো করে গুছিয়ে নেওয়াটাও তো এ রকম ‘আর্ট’ বা শিল্প। আপনারা কী বলেন?”
শুভশ্রীর মানসিক পরিপক্কতার প্রশংসা করে দেবশ্রী বলেন, “তাহলে কি আমার বোন আগের তুলনায় অনেক সংযত? এখন আর আগের মতো নিজের আবেগ, অনুভূতি প্রকাশ করে না? আমি বলব, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো মানুষেরই বদল হয়। যদিও সবটাই নির্ভর করে সেই মানুষটার উপর। শুভ অবশ্যই নিজেকে সংযত করেছে। তাই বলে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না, সে কথাই বা কী করে বলি? ও যে ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ। এ প্রসঙ্গে নচিদার (নচিকেতা চক্রবর্তী) গানের কথায় বলতে হয়, ‘যার উষ্ণ আঁচে, ভালোবাসা বাঁচে…’। এখনো আমাদের দেখা হওয়ার পরে ও যেভাবে জড়িয়ে ধরে, মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আমার মনে হয় শুভ জানে, আবেগ, অনুভূতি— এগুলো কার কাছে প্রকাশ করবে।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে দেবশ্রী বলেন, “আমি একে ঠিক বদল বলব না। শুভ আগের তুলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ হয়েছে। নিজের জীবন দিয়ে সঠিকটা বেছে নিতে শিখেছে। সারাক্ষণ চেষ্টা করে, পৃথিবীর সমস্ত নেতিবাচকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে। আগের তুলনায় আরো আধ্যাত্মিক মনের হয়েছে। এটাও ওকে মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করে। নিজের শিকড় শুভ কখনো ভোলে না। তাই হয়তো ঘরে-বাইরে আজ এত সফল। এটাও তো এক রকমের ‘আর্ট’!”
রাজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী উল্লেখ করে দেবশ্রী বলেন, “এর জন্য রাজের ভূমিকা অনেক। একজন মেয়ের পরিবার এবং পেশা—দুটো দিকে ভারসাম্য রেখে চলা তখনই কঠিন, যখন নিজের জীবনের উপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সংযত, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন, স্বামী-সন্তান আর নিজের কাজের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, সবটাই আমার ভগ্নিপতির মতো বর পেয়েছে বলেই শুভ পারে। সবকিছু দু’জনে ভাগ করে নেয়। আমি বাবা আমার জামাইকে নিয়ে একটু বেশিই পক্ষপাতদুষ্ট। আগেও বলেছি, এখনো বলি, আমার চোখে দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী রাজ চক্রবর্তী।”
ঢাকা/শান্ত