ধসে পড়া অর্থনীতি প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে পুনরুদ্ধার হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
Published: 12th, August 2025 GMT
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কারণে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দেশের অর্থনীতি শক্ত অবস্থানে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরশাসনের সময় ব্যাংক খালি করে পুরো আর্থিক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু প্রবাসীদের অবিরাম শ্রম ও রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।”
আরো পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিল মালয়েশিয়া
কুয়ালালামপুরে অধ্যাপক ইউনূস ও আনোয়ার ইব্রাহিমের বৈঠক আজ
তিনি বলেন, “প্রবাসীদের ভোটাধিকার এখন নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।”
রেমিট্যান্স প্রেরণ ও প্রবাসীদের অবদানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার পেছনে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।”
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন, তাদের সমস্যা সমাধানে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।”
তিনি অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেন, “বিদেশে আসার আগে বৈধ কাগজপত্র প্রস্তুত রেখে অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি, যাতে বিদেশে এসে কোনো ধরনের জটিলতা বা হয়রানির সম্মুখীন না হতে হয়।”
মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা জানান, দেশটির ব্যবসায়ী মহলের কাছ থেকে বাংলাদেশে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে। এই বিনিয়োগ ভবিষ্যতে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান।
আলোচনায় আরো অংশ নেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড.
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার কুয়ালালামপুরে পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স প রব স দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক গ্যারান্টি জমার সময় বাড়ল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তোলা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। নতুন করে পাঁচ বছরের জন্য দল নেওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও বিপাকে আয়োজকরা।
নতুন করে দল পেতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ পাঁচ দলের তিনটিই জমা দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টি। যে দুইটি দল জমা দিয়েছে তাদের সব কাগজপত্রও এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি নিশ্চিত করেছেন, “মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। এজন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু নিলাম ২৩ তারিখ। হাতে কিছুটা সময় আছে। আমরা সেই সুযোগটি দলগুলোকে দিচ্ছি।”
দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে দলগুলোকে কিছু ছাড়ও দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ‘আমরা অতি দ্রুত সব আয়োজন করছি। ফ্রাঞ্চাইজি বাছাই, দল গোছানো, ভেন্যু নির্বাচন, ফিক্সচার, বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ…সব কিছু তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের আয়োজন সফল করার চ্যালেঞ্জ আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এগুলো আগামী আসর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বাকিদের কাগজ পর্যালোচনা করবেন তারা, ‘যারা ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের কাগজপত্রও পর্যালোচনা করতে হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি দিলেই হলো না। ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিও আসে। তাই আমরা সতর্ক আছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখব, তারপর সব চূড়ান্ত হবে।”
যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের আগে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নও করা হয়। অনুমিত উত্তরটাই আসলো, “নিলামে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের যে ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা না থাকলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।”
ঢাকা/ইয়াসিন